ঢাকাবুধবার , ১৯ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জুলাই বিপ্লবকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অভিযুক্ত আঃলীগ নেতাকে পুষে রেখেছে বালিয়াকান্দী উপজেলা প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৯, ২০২৫ ১০:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দী উপজেলার ৭ নং জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম ফরিদ হোসেন বাবু মিয়ার প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমানের নিরব ভূমিকা রিতীমত সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মদদে একাধিক অভিযোগের পরেও বহাল তবিয়তে আছেন চেয়ারম্যান এ কে এম ফরিদ হোসেন বাবু মিয়া।


অভিযোগ রয়েছে, ৭ নং জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বালিয়াকান্দী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম ফরিদ হোসেন বাবু মিয়া তিনি ৫ মাসের অধিক সময় ধরে ইউনিয়ন পরিষদে তাঁর কর্মস্থলে অনুউপস্থিত। জুলাই বিপ্লবে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের হত্যাযজ্ঞে শামিল থাকার অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা রয়েছে। বালিয়াকান্দী থানায় রয়েছে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা। একাধিক মামলা থাকার কারণে তিনি দীর্ঘদিন পালাতক রয়েছেন, অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে চলছে তাঁর সকল কর্মকাণ্ড ও ব্যবসাবাণিজ্য। জুট মিলের কোটি কোটি টাকার পাওনা পরিশোধ না করেও দিব্যি চলছে তাঁর নলিয়া জামালপুরস্থ আব্দুল জলিল জুট মিলস লিমিটেড। ইউনিয়ন পরিষদে কর্মস্থলে অনেক দিন উপস্থিত না হয়ে চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন বহাল। জনগণের কাঙ্খিত সেবা ব্যহত হওয়ার পরেও বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসছে না। জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ সেবা নিতে গেলে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর পেতে হলে গুনতে হয় দিনের পর দিন। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান রানা ও উদ্দোক্তা অসিত কুমার বিশ্বাস এর সহযোগীতায় রহস্যময় ভাবে মিলছে অনুউপস্থিত পালাতক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর। গুপ্ত স্থান থেকে সবসময় চেয়ারম্যান প্রয়োজনীয় কাগজে স্বাক্ষর করেন বলে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব জানালেও জনগণের দাবি ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের কারসাজিতে কিছু ক্ষেত্রে জাল স্বাক্ষরে চলছে ইউনিয়ন পরিষদ সেবা। স্থানীয় জনগণের মতে উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন সচিব ও কিছু আওয়ামী পন্থী ইউপি সদস্যদের যোগসাজশে চলছে এই ভয়াবহ অনিয়ম অপরাধ। স্বৈরাচার শেখ পরিবারের আস্থাভাজন সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের অন্যতম সহযোগী বাবু চেয়ারম্যান পেশীশক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘদিন এলাকার মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিলাম। এখনো কৌশলে কিছু লাঠিয়াল বাহিনী ও স্থানীয় বিএনপি নেতা বোন জামাই মীর মনিরুজ্জামান বাবুর ক্ষমতায় শক্তিশালী। জুলাই বিপ্লবে স্বৈরাচার শেখ পরিবারের ক্ষমতার পতন হলে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত স্বাধীন বার্তা দিলেও স্থানীয় জনগণের দাবি এই এলাকা এখনো স্বৈরাচারের দাপট মুক্ত হয়নি। যে কারণে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধের শত শত অভিযোগের কোনো সুরাহা হয়নি। তাঁর মালিকানাধীন আব্দুল জলিল জুট মিলের কাঁচামাল পাট ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী সাপ্লাই দিয়ে বকেয়া বিল না পেয়ে অনেকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারি চাকরি পাবার আশায় জমি বিক্রি করে এই চেয়ারম্যানের হাতে নগদ অর্থ তুলে দিয়ে নিঃস্ব পঞ্চাশের অধিক যুবক, নগদ টাকা ধার দিয়ে বিপাকে শত শত মানুষ। অর্থনৈতিক লেনদেনের সমাধান নিয়ে চিন্তিত সরকারি বেসরকারি একাধিক ব্যাংক ও নানা প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের ঘনিষ্ঠতার সূত্রে কবজা করা বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি এখনো তাঁর দখলে এবং অবৈধভাবে রেলওয়ের জমি এখনো বিক্রি করে যাচ্ছেন অনায়াসে তিনশত টাকার স্টাম্পে। সারের ব্যবসা বা দোকান নাই অথচ এখনও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের লাইসেন্সধারী ইউনিয়ন সারের ডিলার বাবু মিয়া, এখানেও রয়েছে ব্যপক গড়মিল। শত শত অভিযোগ ও অনিয়মের পরেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার গড়িমসি বালিয়াকান্দী উপজেলা প্রশাসনের।