গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামকে অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ ও গাড়িতে অবৈধ অর্থ বহনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) উন্নয়ন শাখার সচিব মো. নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ছাবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে কর্মস্থল ত্যাগ এবং গাড়িতে অবৈধ অর্থ বহন ও তা যৌথবাহিনী কর্তৃক জব্দ করার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়। প্রজ্ঞাপনে তার এহেন কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুসারে সাময়িক বরখাস্ত এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপনে কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২ (১) অনুসারে ছাবিউল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথাও উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত রোববার (১৬ মার্চ) ছাবিউল ইসলামকে এলজিইডির প্রধান কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) আবদুর রশীদ মিয়া স্বাক্ষরিত এক নোটিশে নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কেনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা চিঠি পাওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, যৌথবাহিনীর সদস্যরা গত বৃহ¯পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া উপজেলায় যানবাহনে তল্লশির সময় নাটোর অভিমুখে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে প্রায় ৩৭ লাখ টাকাসহ মো. ছাবিউল ইসলামকে আটক করে। পরে তাকে ও গাড়ির চালককে সিংড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তদন্তকারী কর্মকর্তা তলব করামাত্র হাজির হবেন, এমন শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। তবে ছাবিউল ইসলাম ওই টাকা তার জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করেন। তবে এর সমর্থনে তিনি কোনো প্রমাণ দিতে না পারায় ওই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন নাটোরের সিংড়া আমলি আদালত। সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী, একজন কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে টানা তিন বছরের বেশি থাকতে পারেন না। অথচ মো. ছাবিউল ইসলাম ২০০৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে গাইবান্ধায় যোগ দেন এবং দীর্ঘ ২১ বছর এখানেই কর্মরত আছেন। মাঝে তাকে বরিশালে বদলি করা হলেও মাত্র ২৩ দিনের মধ্যে তিনি পুনরায় গাইবান্ধায় ফিরে আসেন।