মাদারীপুরের খোয়াজপুরে মসজিদের ভিতরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আহত তাজেল হাওলাদারের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহতের বড় ভাই রাজু হাওলাদার। নিহত তাজেল মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর-টেকেরহাট গ্রামের আজিজুল হাওলাদারের ছেলে। এই ঘটনায় তাজলের মৃত্যু নিয়ে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৮ মার্চ শনিবার খোয়াজপুরে প্রতিপক্ষের হামলা থেকে বাঁচতে সরদারবাড়ি জামে মসজিদের ভিতরে আশ্রয় নেয় সাইফুল ও তার ভাই আতাবুর সরদার। মসজিদের ভিতর ঢুকে দুই ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। দুই ভাইকে বাঁচাতে গেলে সাইফুলের আরেক ভাই অলিল সরদার, চাচাতো ভাই পলাশ সরদার, স্ত্রী সেতু আক্তার ও স্থানীয় তাজেল হাওলাদারসহ আরো ৮ জনকে কুপিয়ে জখম করে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে মাদারীপুর ২৫০ বেড হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। ঐদিন রাতেই (৮ মার্চ) ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলাশ সরদারের মৃত্যু হয়। তাজেলকে ৮ দিন চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিলে পরিবারের লোকজন ১৫ মার্চ বাড়ি নিয়ে আসে। বাড়ি আসার ২দিন পর তাজেল আবার অসুস্থ্য হয়ে পরলে দ্রুত বাড়ি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত তাজেলের বড় ভাই রাজু হাওলাদার জানান, গত (১৫ মার্চ) শনিবার বাড়ি নিয়ে এসেছিলাম। মঙ্গলবার দুপুরে খাবার খাওয়ার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ভর্তি করার আগেই মারা যায়। বর্তমানে আমার ভাইয়ের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। মনে হয় রাতে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবো না। আগামীকাল লাশ আমাদের কাছে দিতে পারে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা জানান, আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত তাজেল মারা গেছে। তার লাশ এখনো ঢাকা মেডিকেলেই আছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৮ মার্চ রাতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইফুল সরদারের মা সুফিয়া বেগম বাদি হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৮০/৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামী হোসেন সরদারসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা বর্তমানে মাদারীপুর জেলা কারাগারে আছেন। বাকী ৪জন হল সুমন রদার, কুলসুম বেগম, রুবেল বেপারী ও সজন মাহমুদ।