ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২০ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোপালগঞ্জে কাজ না করেই অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ ইউপি মেম্বার বিরুদ্ধে

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
মার্চ ২০, ২০২৫ ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সরকারি প্রকল্পের কাজ না করেই অর্থ উত্তোলন, রাস্তার মাটি কেটে বিল্ডিং নির্মাণ সহ কবরস্থানের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ১৩ নং পুইশুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহ আলম শিকদারের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইউপি সদস্য শাহ আলম মিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার অবর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন তার ছোট ভাই তুহিন সিকদার। এলাকার সকলের কাছে তুহিন সিকদার এখান মেম্বার বলে পরিচিত। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান কাজ প্রসঙ্গে ১৩ নং পুইশুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম সিকদারকে বারবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ইউপি সচিব কার্তিক মল্লিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন ৪ নং ওয়ার্ডের নতুন মসজিদ সংলগ্ন এলজিইডির রাস্তা হতে কবর স্থান পর্যন্ত ৪০০ মিটার কাবিখা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বরাদ্দ রয়েছে ৪ টন গম। যার বাজার মূল্য ১ লাখ টাকার কিছু বেশি। তবে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় নামমাত্র কোথাও কোথাও সামান্য মাটি দিয়ে চলছে রাস্তার সংস্কার। এ নিয়ে এলাকার বাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরজমিনে দেখা যায় ৪ নং ওয়ার্ডের শাহিন শিকদারের বাড়ির সামনে দিয়ে ঈদগাহের উপর দিয়ে কাশেম সরদার এর ঘর পর্যন্ত নির্মিত রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইউপি মেম্বার শাহ আলম শিকদারের শ্যালক মিন্টু সর্দার। রাস্তার মাটি দিয়ে তিনি বিল্ডিং ভেতরের জায়গা-ভরাট করছেন। এ প্রসঙ্গে কথা হলে মেম্বারের ভাই তুহিন সিকদার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি মিন্টুকে বলেছি পুনরায় আবার রাস্তার মাটি ভরাট করে দিতে। অপরাধ শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয় সারো জমিনে দেখা যায় ৪নং ওয়ার্ডের এলজিইডির রাস্তা হতে মাহবুব শিকদারের বাড়ির মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা নির্মিত হয় বিগত ৮/১০ বছর আগে। ওই একই রাস্তা নির্মাণের কথা বলে জেলা পরিষদ থেকে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আনেন মেম্বার শাহ আলম শিকদার। এলাকাবাসীর অভিযোগ সাবেক রাস্তার পুরনো ইট দিয়ে রাস্তা সংস্কার করে পুরো বরাদ্দের টাকাটাই আত্মসাৎ করেন তিনি। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার শাহ আলম শিকদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযোগের বিষয়ে কোন সদুত্তর না দিয়েই আপোষ করার কথা বলেন এবং রিপোর্টটি প্রচার না করতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন।