ঢাকাশনিবার , ২২ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লিবিয়ায় নির্যাতনে আবারো বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি
মার্চ ২২, ২০২৫ ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দুই সপ্তাহের মাথায় আবারো লিবিয়ায় বাংলাদেশির যুবকের মৃত্যু। এবার দালালদের নির্যাতনে প্রাণ গেল মাদারীপুরের সজিব সরদারের। মৃত্যুর খবর পরিবারে আসলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজন ও পাড়াপ্রতিবেশি। স্বজনদের অভিযোগ, ৪৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলেও দালালদের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচানো যায়নি সজিবকে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পাশাপাশি নিহতের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিও তাদের। স্বপ্নের দেশ ইতালি পাড়ি জমাতে গিয়ে একের পর মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। কখনও ভুমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারাচ্ছে যুবকরা। আবার কখনও দালালদের নির্যাতনে মৃত্যু। এবার সেই তালিকায় যোগ হলে মাদারীপুরের ২৫ বছর বয়সী যুবকের। স্বজনরা জানায়, মাদারীপুরের শিবচরের নিলখী ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের চাঁনমিয়া সরদারের ছেলে সজিব সরদারকে ইতালি নেয়ার প্রলোভন দেখায় সদর উপজেলার শিরখাড়া এলাকার দালাল বোরহান বেপারী। চুক্তি অনুযায়ী বোরহানের হাতে ১৫ লাখ টাকা তুলে দেয় পরিবার। ৪ মাস আগে সজিবকে সরাসরি ইতালি না পাঠিয়ে লিবিয়া পাঠায় দালালচক্র। সেখানে বন্দিশালায় জিম্মি করে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে পরিবার থেকে দফায় দফায় আদায় করা হয় মুক্তিপণ। ধারদেনা করে ৪৬ লাখ টাকা দালালদের হাতে তুলে দেয় যুবকের পরিবার। তবে শেষ রক্ষা হলো না সজিবের। আরো মুক্তিপণ দাবি করলে পরিবার না দেয়ায় ব্যাপক নির্যাতন করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে সজিব। গত বুধবার লিবিয়ার একটি সড়কের পাশে সজিবকে ফেলে রেখে যায় দালালচক্র। সেখান থেকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে সজিবকে ভর্তি করেন এলাকাবাসী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। মৃত্যুর খবর পরিবারে আসলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা। এই ঘটনার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি নিহতের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর।
নিহত সজিবের বাবা চাঁনমিয়া সরদার বলেন, ‘আমার ছেলেকে দালাল বোরহান ইতালি নেয়ার কথা বলে লিবিয়া নিয়ে যায়। পরে সেখানে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। চারমাস লিবিয়ার বন্দিশালায় আটকে রেখে নির্যাতন করলে আমার ছেলের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার কঠির বিচার চাই।’ সজীবের বোন শামীমা আক্তার বলেন, ‘দফায় দফায় ৪৬ লাখ টাকা দিয়েও আমার ভাইকে বাঁচাতে পারলাম না। জমিজমা বিক্রি ও চড়াসুদে টাকা এনে দালালদের হাতে তুলে দিলেও শেষ রক্ষা হলো আমার ভাইয়ের। সরকারের কাছে আকুল আবেদন দ্রুত যেন আমার ভাইয়ের লাশ দেশে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন। মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ জানান, লিবিয়ায় নির্যাতনে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসী মর্মে জানা গেছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার থেকে মামলা করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৪ মার্চ লিবিয়া হতে ইতালি যাবার পথে ভূমধ্যসাগরে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আগুন ধরে মারা যায় রাজৈরের বদরপাশা ইউনিয়নের চরমস্তফাপুর গ্রামের সুমন হাওলাদার ও শাখারপাড়ের নাসির মাতুব্বর।