ঢাকারবিবার , ২৩ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মিলন হত্যার খুনিদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
মার্চ ২৩, ২০২৫ ১১:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঠাকুরগাঁওয়ে দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী মিলন হোসেন হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো শহর। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে রোববার (২৩ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। শহরের চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন “মিলনের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, বিচার চাই!” তাদের প্রতিবাদে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীরা ১২ টা ৩০ মিনিটে খুনিদের ফাঁসির দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে। কিছুক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসককে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। মিলন হোসেন দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নের চাপাপাড়া গ্রামের পানজাব আলীর ছেলে। পুলিশ জানায়, অনলাইনে গড়ে ওঠা প্রেমের সূত্র ধরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মিলন ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক কলেজের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। রাত ১টার দিকে তার পরিবারের কাছে অপহরণকারীরা ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। প্রথমে তারা ৩ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে একপর্যায়ে মুক্তিপণের পরিমাণ ২৫ লাখ টাকায় নিয়ে যায়। অবশেষে মিলনের বাবা পানজাব আলী ধারদেনা করে পুরো ২৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু এত টাকা দেওয়ার পরও মিলনকে জীবিত ফেরত পায়নি পরিবার। দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজির পর ১৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের অভিযানে দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মিলনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মামুনুর রশিদ জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মহেশপুর বিট বাজার এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে সেজান আলী। অন্যজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হয়নি। পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন ধরে এই মামলায় কাজ করছিলাম। কোনো ক্লু পাচ্ছিলাম না। অবশেষে প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তারা স্বীকার করেছে যে, মুক্তিপণ পাওয়ার পরও মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। মিলনের হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। যেন ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থী এমন পরিণতির শিকার না হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। আরও অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মিলনের পরিবারের একমাত্র দাবি, হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার করে ফাঁসির দণ্ড নিশ্চিত করা হোক। ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ ও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।