ঢাকাসোমবার , ২৪ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত SOP মানবপাচার প্রতিরোধে একটি মাইলফলক

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২৪, ২০২৫ ৭:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত Standard Operating Procedure (SOP) মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে ‘Standard Operating Procedure for the Return of Bangladesh citizens to Bangladesh’ শীর্ষক SOP স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের পক্ষে SOP’তে স্বাক্ষর করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে স্বাক্ষর করেন সে দেশের জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্স এর ডেপুটি কমান্ডার Mark Whitechurch. এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার Susan Ryle এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ অভিবাসন এবং মানব পাচার গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং বৈধ অভিবাসনের নীতিগুলিকে বিপন্ন করে। এটি কেবল অসংখ্য জীবনকেই বিপন্ন করে না বরং দক্ষতা-ভিত্তিক এবং বৈধ অভিবাসনের পথে এটি হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন, আমরা বিপজ্জনক এবং জীবন-হুমকিপূর্ণ যাত্রা রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকের একটি নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করা যায়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন-নীতিমালা মেনে একটি নিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। যারই অংশ হিসেবে আজ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের এই SOP স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই SOP অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিনিময়, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় এবং মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে কার্যকর সহায়তা প্রদান করবে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র অত্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের পারস্পরিক বাণিজ্য, উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে বৈচিত্র্যময় কর্মীবাহিনী/শ্রমিক, যার মধ্যে আছে অত্যন্ত দক্ষ পেশাদার থেকে শুরু করে আধা-দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিক, যারা অস্ট্রেলিয়ার শ্রম বাজারের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। তিনি আরো বলেন, অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচার মোকাবেলায় একটি সামগ্রিক ও সমন্বিত আঞ্চলিক পদ্ধতির প্রয়োজন। উপদেষ্টা এসময় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট দেশগুলিতে বিস্তৃত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহযোগিতামূলক কাঠামো তৈরির প্রস্তাব করেন। তাছাড়া তিনি ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।