গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাবিরাটের ভূমিদস্যু রফিকুল চেয়ারম্যানকে অপসারণসহ সাঁওতালদের ভূমি ও নিরাপত্তার দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং গোবিন্দগঞ্জ ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। মানঝি পরিষদ, রাজাবিরাট, গোবিন্দগঞ্জ এই সমাবেশের আয়োজন করে। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার (২৩ মার্চ) সকালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। গাইবান্ধা আইন কলেজের শিক্ষার্থী বৃটিশ সরেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা.ফিলিমন বাস্কে, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুর্মু, ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির নেতা ময়নুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, সুফল হেমরম, জুলিয়াস সরেন, শ্যামবালা হেমরম, যোয়াস মুরমু, সাহেব মুরমু, অলিভিয়া মার্ডি, অঞ্জলি প্রমূখ। বক্তরা বলেন যে, রাজা বিরাটের ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান রফিকুল জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সমাধিস্থান দখল করে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর উপর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। উপরন্তু সাঁওতাল সম্প্রদায়ের নামে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত। অবিলম্বে সমাধিস্থল দখলমূক্ত এবং সরকারী খাস পুকুর দুটি দখল মুক্ত করার দাবী করা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন যে স্থানীয় সরকারি আইন অনুযায়ী জন-স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় রাজা বিরাটের ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান রফিকুলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও অপসারণের দাবী করেন। বক্তরা আরো বলেন রফিকুল চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীয় ভূমিদস্যুগণ অত্র এলাকায় সাঁওতালদের একমাত্র সমাধিস্থল শক্তনেট দিয়ে ঘিরে রেখেছেন এবং সাঁওতালদের সমাধিস্থ করতে বাঁধা প্রদান করছে। যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। প্রশাসনসহ সকলের কাছে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রাজাবিরাটের নিরীহ সাঁওতালদের ভূমি ও জীবনের নিরাপত্তা দাবী করেছে। একই সাথে দখলকৃত ১.৪৫ একর এবং .৪৬ একর খাস পুকুর দুটি হতে চেয়ারম্যান রফিকুলকে উচ্ছেদ করে খাস কালেকশন করে পিছিয়ে পড়া স্থানীয় সাঁওতাল জনগোষ্ঠিদেরকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে লীজ প্রদানের দাবী এবং সেই সাথে ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা তারের নেট দিয়ে ঘেরাও করা সমাধিস্থান অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবী জানান। উল্লেখ্য যে, গত ৩/০১/২৫ ইং তারিখে ১১টার সময় চেয়ারম্যান রফিকুল কর্তৃক বিট্রিস সরেনের মাকে মারধর ও ওই রাতে বিট্রিস সরেনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন অতি দ্রুত প্রদান করার জন্যে জোর দাবী জানানো হয়।