নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন পেশ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের পরিচালক নূর আহমেদের কাছে দুদকের উপ পরিচালক যতন কুমার রায় প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিষয়টি যতন কুমার রায় নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এনামুলের বিরুদ্ধে ২০৭ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে মামলার সুপারিশ করেছি।’
দুদক সুত্র জানায়, এনামুল হকের ৮৪ লাখ টাকা শুধু ‘করপরবর্তী মুনাফা’ হয়েছে। আর তিনি আয়কর দিয়েছেন ৮৭ লাখ টাকা, যা বাস্তবসম্মত নয়।
অন্য দিকে, এনামুল হক ও তার স্ত্রী তহুরা হক সম্মিলিতভাবে মাত্র ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেন। কৌশলে এড়িয়ে যান তার মালিকানাধীন লিমিটেড কোম্পানি, প্রোপ্রাইটারশিপ এবং পার্টনারশিপে থাকা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য।
একই সঙ্গে সালেহা-ইমারত কোল্ড স্টোরেজ, এনা-ডুঙ্গা লিজিং, নর্দার্ন পাওয়ার সল্যুশন লিমিটেড, এনা ইন্টারন্যাশনাল, এনা কারস, এনা এনার্জি লিমিটেডসহ অন্য প্রতিষ্ঠানে তার শেয়ার বা মালিকানার বিষয়টি বিবরণীতে তিনি উল্লেখই করেননি।
উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি কমিশন সভায় বিগত মহাজোট সরকারের সাত মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এনামুল হক ছাড়া অপর ছয়জন হলেন- সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার, কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি আবদুর রহমান বদি, ঢাকা-১২ আসনের এমপি আসলামুল হক এবং সাতক্ষীরা-২ আসনের এমপি এম এ জব্বার।
এর মধ্যে সম্প্রতি আবদুল মান্নান খান, মাহবুবুর রহমান এবং আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলা করেছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাটি। এছাড়া আসলামুল হককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় দুদক।