ঢাকামঙ্গলবার , ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

একসঙ্গে দুই জোড়া সন্তান প্রসব

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৪ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রাজশাহী পা্রতিনিধি

একই সঙ্গে চার সন্তান প্রসব করলেন এক নারী। তবে ওই নারী সুস্থ্য থাকলেও প্রসবের ৪ ঘন্টার মাথায় চার নবজাতকই মারা যায়।
চার সন্তান প্রসবকারী ওই নারীর নাম কারিমা বেগম। তিনি বাগাতিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মুন্নার স্ত্রী।
মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

 ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চার নবজাতকের মধ্যে দুইজন ছেলে ও দুইজন মেয়ে। বর্তমানে মা সুস্থ্য থাকলেও ওই চার নবজাতকের একজনও বেঁচে নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মুন্নার স্ত্রী কারিমা বেগমের সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে প্রসব বেদনা ওঠে। এর আধাঘন্টা পরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন কারিমা। এরপর তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কারিমার স্বামী মুন্না জানান, রামেক হাসপাতালের ভর্তির আধাঘন্টা পর ভোর ৪টার দিকে কারিমা আরও তিনটি সন্তান প্রসব করেন। তবে চার ঘণ্টার ব্যবধানে চারটি সন্তানই মৃত্যুবরণ করে।
রামেক হাসপাতালের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. শিপ্রা চৌধুরী জানান, একইসঙ্গে চারটি সন্তান গর্ভে ধারণ করায় বাচ্চাগুলো অপুষ্টিতে ভুগছিল। তাদের মধ্যে শারীরিক পূর্ণতা ছিলো না। আর এ কারণে বাচ্চাগুলো জন্মের পরপরই মারা যায়। তবে কারিমা বর্তমানে সুস্থ্য আছেন।
ওই নারীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মুন্নার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাগাতিপাড়া উপজেলার মহাজনপাড়া গ্রামের বাদল মোল্লার মেয়ে কারিমার বিয়ে হয়। মুন্না একজন বাদাম বিক্রেতা।
কারিমার বাবা বাদল মোল্লা জানান, তিনি এবং তার মেয়ে জামাইয়ের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় সময়মতো চিকিৎসা করাতে পারেন নি। আর এ কারণে বাচ্চাগুলোর করুণ মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মঙ্গলবার বাদ আসর বাচ্চাগুলোর দাফন সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।