আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন। ইতোমধ্যে দীর্ঘ ৯ মাস যাবৎ দেশটি অতিক্রম করে ফেলেছে ভয়াবহতম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, যার জের ধরে নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০০০ মানুষ, উদ্বাস্তু হয়েছেন অন্তত ১০,০০০ মুসলমান নাগরিক।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে পূর্ব্ববর্তী সময়ে একই কাজে নিয়োজিত প্রায় ২০০০ ফরাসী সেনা। জানা যায় মধ্য আফ্রিকায় ৬,২০০ সেনা একই মিশনে দেশটিতে অবস্থান করছিল। তাদের মধ্যে হতে ১৮০০ সেনা বর্তমানে আফ্রিকার ইউনিয়নের শান্তিরক্ষা কমিটিতে যোগদান করেছে।
প্রায় ৫০ লাখ অধিবাসী অধ্যুষিত মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র আফ্রিকীয় বলয়ের অনুন্নততম দেশগুলোর একটি। বিগত দুই দশক ধরে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের উদ্যোগে দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৩টি শান্তিরক্ষা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। একটিও সাফল্যের মুখ দেখেনি।
এ দফায় দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পাঁচটি দেশের (বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং মরক্কো) সেনা সদস্যেরা। জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
দেশটির আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোকপাত করেন তিনি। তার ভাষ্য মতে, এখানে সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। দেশটি ভূমিবেষ্টিত এবং আভ্যন্তরীণ সড়ক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। যা নিরাপত্তা সমস্যাকে প্রকটতম করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্ত মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র তার স্বাধীন অস্তিত্বের সূচনা লগ্ন থেকেই অস্থিতিশীল পর্যায় অতিক্রম করে যাচ্ছে। সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে মুসলিম-খ্রিস্টান জাতিগত দ্বন্দ্ব, যার জের ধরে প্রথমে খ্রিস্টান ও পরে মুসলিম নাগরিকেরা যারপরনাই দমনপীড়নের শিকার হয়ে চলেছেন।