আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দনেৎস্ক-এর আবাসিক এলাকায় কামানের গোলার আঘাতে ৬ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গত ৫ সেপ্টেম্বর দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হওয়ার পর এটি সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এ হামলার দায় রুশপন্থীদের ওপর বর্তাতে চাইছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রধান আন্দ্রি লাইশেঙ্কো বলেন, ‘আজ, গতকাল কিংবা তার আগের দিন, কখনই সেনাবাহিনী কোন আবাসিক এলাকায় গোলা ছোড়েনি।’ রুশপন্থীদের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত কোন সরাসরি বার্তা মেলেনি।
একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি বারংবার প্রস্তাবিত এবং কাগজে কলমে বাস্তাবায়িত হলেও কার্যক্ষেত্রে কেন তা রক্ষিত হচ্ছে না তার অনুমিত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় ন্যাটোর মুখপাত্রদের ভাষ্য থেকে। এর পেছনে একচ্ছত্রভাবে রুশ প্রভাবকে দায়ী করতে চাইছেন তারা।
ন্যাটের মহাসচিব অ্যান্ডারস ফগ রাসমুসেন বলেন, ইউক্রেনে এখনও কমপক্ষে ১০০০ রুশ সেনা অবস্থান করছে এবং সীমান্তে হাজার রুশ সেনা মজুদ আছে, যারা রুশপন্থীদের শক্তিবৃদ্ধি ও আক্রমণে ভূমিকা রাখছে।
যুদ্ধবিরতি সঠিকভাবে রক্ষিত হওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে সোমবার রুশ রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে দূরালাপনে আলাপ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত এক সূত্র হতে জানা গেছে।
মের্কেল যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার স্বার্থে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনাদের পুরোপুরি তুলে নেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। রাশিয়া যথারীতি ইউক্রেনে রুশ সেনাদের উপস্থিতিই অস্বীকার করে গেছে। আবাসিক এলাকায় কামানের গোলা বিস্ফোরণের ঘটনার পাশাপাশি দিনভর দনেৎস্ক বিমানবন্দর এলাকা থেকে গোলাগুলির শব্দ আসছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। দনেৎস্ক ছাড়াও লুহানস্ক, খারকিভ প্রভৃতি রুশভাষী অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় প্রকট আকার ধারণ করেছে।