ঢাকামঙ্গলবার , ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বই পরিচিতি
শাকসবজি উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৪ ২:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লেখক : ড. গাজী মো. জয়নাল আবেদীন

সবজি চাষের খুঁটিনাটি বিষয় অর্থাৎ জমি নির্বাচন, বীজের জাত নির্বাচন, বীজ বপনের সময়, বীজের হার, বীজের হার, বীজতলায় চারা-উৎপাদন, সারের মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি, রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা অতি সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। বইটি সবজি চাষি তথা মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের জন্যও অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
লেখক ড. গাজী মো. জয়নাল আবেদীন বইটির প্রসঙ্গ কথায় লিখেছেন, আমাদের বসতবাড়ির আঙিনায় আদিকাল থেকেই নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী সবজি চাষ হয়ে আসছে। এক্ষেত্রে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার নেই বললেই চলে। কিন্তু বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে বহুলাংশে। তাই অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষি বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে সবজি উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। Vegetableএমনকি অনেক শিক্ষিত যুবকও সবজি চাষের দিকে এগিয়ে আসছে। আর বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষের জন্য চাই আধুনিক প্রযুক্তি অর্থাৎ সবজি-চাষের সঠিক কলাকৌশল। বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায়,  সবজি উৎপাদন করতে গিয়ে চাষি ভাইয়েরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন এবং সমাধান খুঁজতে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সবজি চাষের পূর্ণাঙ্গ কলাকৌশল শুধুমাত্র একটি বইয়ে পাওয়া যায় না; আর পাওয়া গেলেও তা আংশিক। তাই এই বাস্তবতার নিরিখে প্রগতিশীল চাষি ভাইদের জন্য দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে এ ধরনের একটি বই লেখার তাগিদ অনুভব করেন লেখক। এই পুস্তকে সবজি চাষের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো অর্থাৎ জমি নির্বাচন, বীজের জাত নির্বাচন, বীজ বপনের সময়, বীজের হার, বীজতলায় চারা-উৎপাদন, সারের মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি, রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা অতিসহজ কথায় লেখা হয়েছে।
ড. গাজী মো. জয়নাল আবেদীন ১৯৬৩ সালে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে আমতলী এ কে পাইলট হাইস্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ১৯৮৩ সালে সোভিয়েত সরকারের বৃত্তি নিয়ে রাশিয়া গমন করেন। ১৯৮৯ সালে রাশিয়ার কুবান স্টেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণিতে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে পিএইডি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরেন।
১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে বেসরকারিভাবে মৃত্তিকা পরীক্ষাগার স্থাপন করে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে সার ব্যবস্থাপনার উপর পরামর্শ প্রদান করেন। ১৯৯৭ সালে লেখক মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউ (এসআরডিআই)-এ ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে মৃত্তিকার উর্বরতা ও সার ব্যবস্থাপনার উপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও লেখক Solid Waste ও Poultry Waste Management এর  উপর নিরলস গবেষণা করে আসছেন। তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার বিষয়ক কারিগরি উপ-কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য। তার ‘সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণ পদ্ধতি’ বইটি সারের গুনগত মান নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে।