
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় মেনে নিয়েছে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট। এমন তথ্য দিয়েছেন জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। এ রায়ে যারা আঁতাতের কথা বলে তাদের জ্ঞানপাপি বলেও আখ্যা দেন তিনি।
বুধবার দুপুরে ১৪ দলের এক সভা শেষে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ নাসিম নিজেই।
নাসিম বলেন, ‘১৪ দল আশা করেছিল দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে। সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে।’
‘জনশ্রুতি আছে এই রায় আঁতাতের, আপনারা কীভাবে নিচ্ছেন, আদৌ কি এটা আঁতাতের রায়?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আঁতাতের কথা যারা বলে তারা জ্ঞানপাপী। তারা না বুঝে এসব কথা বলে।’
বিরোধীদের সমালোচনা করে নাসিম আরো বলেন, ‘তারা অনেক সময় অনেক কথা বলে। এটা অহেতুক ও অযৌক্তিকভাবে বলে। আদালত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। তাদের (আদালত) উপর হস্তক্ষেপ করা শোভন নয়। অনেক বাধা সত্ত্বেও বিচার চালিয়ে যাচ্ছি। ১৪ দল সমস্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে।’
জামায়াতের হরতাল নিয়ে তিনি বলেন, ‘হরতালে মানুষের সমর্থন নেই। এটা মানুষ রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবে। আইনও তার গতিতে চলবে।’
ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার পর ৭২ এর সংবিধান সবচেয়ে বড় অর্জন। সেই ৭২ ৭২ এর সংবিধান ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া। তারই অংশ হিসেবে আজ (১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার) বিচারপতিদের অভিসংসনের ক্ষমতা সংসদে দেয়ার জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল আকারে সংসদে উঠবে, আশা করছি এটি পাসও হবে। এ ধরনের উদ্যোগের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
এসময় ১৪ দলের এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ফিলিস্তিনে আহত ১০ জন মেডিকেল ছাত্রকে বাংলাদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি। আমরা তাদের সহায়তায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা ছিল, আমরা যথাযথ প্রদক্ষেপ নিয়েছি।’
১৪ দলের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা ও ঈদ উপলক্ষে দেশবাসিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকেও ‘শান্তিবৃক্ষ’ পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ অটিজমের উপর পুরস্কার পাওয়ায় তাকেও অভিনন্দন জানিয়েছে ১৪ দল।
সভায় উপস্থিতি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, গণতন্ত্রি পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূরুর রহমান সেলিম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শরিফ নূরুল আম্বিয়া, কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল এমপি, তরিকতের মহাসচিব লায়ন এমএ আউয়াল এমপি, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।