নিজস্ব প্রতিবেদক
বিকল্প স্থান ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করায় জীবিকা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে হকাররা। জীবনধারণের জন্য এখন তাদের অসৎপথ বেছে নিতে হবে অথবা আত্মহত্যা করতে হবে। এছাড়া আর কোনো সমাধান নেই।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শাহবাগ হকার্স কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে এক মানববন্ধনে একথা বলেন সংস্থার নেতারা।
জনস্বার্থ আইনে সিএমএম কোর্টের এক রায়ে শাহবাগের বারডেম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের সামনের ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ এবং হকারদের জন্য বিকল্প কোনো স্থান বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করায় এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলে, তাদের জন্য বিকল্প কোনো জায়গা বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় এখন এই হকাররা পরিবার নিয়ে অনাহারে দিন পার করছেন। সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়িভাড়া দিতে পারছেন না। বর্তমানে অবস্থা এমন হয়েছে যে, জীবনধারণের জন্য হকারদের ‘অসৎপথ’ বেছে নিতে হবে অথবা আত্মহত্যা করতে হবে।
কর্মসংস্থানের জন্য ফুটপাত দখলের জন্য হকাররা দায়ী নয় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আমাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার ব্যর্থ। তাই আমরা স্ব-উদ্যোগে অল্প পুঁজি নিয়ে ফুটপাতে হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমরা হকাররা কর্মসংস্থানের জন্য ফুটপাতকে ব্যবহার করি। এর জন্য নাকি জনস্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। যদি তা-ই হয় তাহলে এর জন্য সরকার দায়ী, আমরা নই।
বক্তারা আরও বলেন, হকারি পেশা হচ্ছে অমানবিক একটি পেশা। আমরাও এইভাবে এই পেশায় থাকতে চাই না। আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা যদি সরকার করে দেয় তাহলে এ পেশা ছেড়ে দেব।
বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত হকারদের আগের স্থানে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান সংস্থার নেতৃবৃন্দ। এছাড়া হকারদের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।
সংস্থার সভাপতি রমজান আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন, বাংলাদেশ ছিন্নমূল হকার্স সমিতির সভাপতি কামাল সিদ্দিকী, ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহারাইনে সুলতান বাহার, হকার নেতা আনিছ, ওহিদুজ্জামান, বাবুল মৃধা, মিজানুর কাজী, আবু সাঈদ, রফিক, মাসুদ প্রমুখ।