নিজস্ব প্রতিবেদক
‘আমি কখনো রাজনীতি বা কোনো জনসভায় আসিনি। মূলত মাওলানা সাঈদী যে নির্দোষ তা প্রমাণ করতেই আমি রাজনীতিতে এসেছি। এরপর জনগণের ভোটে জয় লাভ করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আমি বুঝিয়ে দিয়েছি বাবার প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে এবং তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।’ এমন মন্তব্যই করেছেন সাঈদীপুত্র মাসুদ সাঈদী।
বুধবার সাঈদীর আপিলের চূড়ান্ত রায় প্রকাশের পর এক সাক্ষাৎকারে মাসুদ সাঈদী এ কথা বলেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘বাবার রায় একটি রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এই রায়ে ন্যায় বিচার পাইনি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিতও হয়নি। আল্লামা সাঈদী একজন নিরাপরাধ ইসলামের খাদেম। তিনি ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ। দেশ ও দেশের বাইরে তার ভক্ত-সমর্থকের সংখ্যা অনেক।’
মাসুদ সাঈদী অভিযোগ করে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদেরকে বিশেষ নিরাপদ স্থানে নিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। এমনকি আমাদের পক্ষের সাক্ষীকে (সুখরঞ্জন বাইন) ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে অপহরণ করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, মূলত বেলজিয়াম ভিত্তিক জনৈক জিয়া উদ্দিন আহমেদের স্কাইপ কথোপকথন ও তার পাঠানো চার্জ ফ্রেমিং অর্ডারের ওপর ভিত্তি করে এসব অভিযোগ সাজানো হয়েছে।’
ইসলামের সঙ্গে রাজনীতির বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রাসূল (সা.) ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথে রাজনীতি করে গিয়েছেন। সুতরাং ইসলামের প্রসঙ্গ তুললে তা ঘুরেফিরে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক।’
নারী নেত্রিত্ব হারাম বলেও সেই নারীদের সঙ্গে রাজনীতি করার প্রসঙ্গে মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘ইসলামে নারী নেত্রিত্ব হারাম ঠিক আছে। তবে আল্লামা সাঈদী একটি সংগঠনের হয়ে রাজনীতি করেছেন মাত্র।’
সাঈদীর ‘মাওলানা’ ও ‘আল্লামা’ উপাধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাওলানা বা আল্লামা লিখতে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের দরকার হয় না। কোনো বিষয়ে বিজ্ঞ বা ব্যাপক জ্ঞান ধারণ ক্ষমতা থাকলেই তাকে এ উপাধি দেয়া হয়।’
‘রায়ে সন্তুষ্ট নই’ উল্লেখ করে রায়ের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সাঈদী পুত্র বলেন, ‘আমরা রায়ের কপি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। কপিটি হতে পেলেই আমরা রিভিউ আবেদন করবো।’