ঢাকাবুধবার , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুই মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৭ কোটি

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৪ ১২:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দর। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। অর্থবছরের বাজেটে আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যের শুল্ক পুনঃনির্ধারণ ও বন্দরের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বন্দরের ভেতরের জায়গা কম থাকাকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার জন্য দায়ী করছেন ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্মকর্তারা।HILI-21-e1404659182322.gif
হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেধে দেয়া ২০১৪-১৫ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৫৬ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সে হিসেবে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানিকৃত পণ্য থেকে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ কোটি ৪২ লাখ ৪৮ হাজার। তার বিপরিতে মাস শেষে আহরণ হয়েছে ২ কোটি ৯৫ লাখ ৯০ হাজার। আগস্ট মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা। মাস শেষে আহরণ হয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ১০ মাসে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ কোটি টাকা পিছিয়ে থাকলে পরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধারণ করে ১৫৭ কোটি ৫৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করলে বছর শেষে আদায় হয় ১৫৮ কোটি ৯৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন বলেন, ‘সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে বন্দরের পণ্য প্রবেশ গেট পর্যন্ত সড়কসহ হিলি স্থলবন্দরের অন্যান্য সড়কগুলো প্রশস্তকরণ এবং হিলি স্থলবন্দরের ওয়্যারহাউজের ভেতরের জায়গা বৃদ্ধি করা হলে বন্দরের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পাবে। সেইসঙ্গে চলতি বছরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ গত অর্থ বছরকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বর্তমানে ফলসহ অন্যান্য বেশি শুল্ক আরোপযুক্ত পণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছেনা। তবে এসব পণ্য বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি শুরু হলে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে।
হিলি স্থলবন্দর শুল্কস্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) মহিবুর রহমান ভুঞা রাজম্ব আহরণে ঘাটতির কথা স্বীকার করে জানান, এবারের অর্থবছরের বাজেটে অনেক পণ্যের আমদানি শুল্ক কম-বেশি করা হয়েছে। এছাড়া অর্থবছরের প্রথম দিকে রাজস্ব আহরণ একটু কমই হয়ে থাকে।
তবে তিনি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি না থাকে এবং বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকে তাহলে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।