আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিদেশী গণমাধ্যমগুলোতে দেলওয়ার হোসেন সাঈদের রায় নিয়ে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আলজাজিরা, ডনসহ এবং গাল্ফ নিউজসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সাঈদির আপিলের রায়ের খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে।
বিবিসির সংবাদে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গণহত্যা, হত্যা ও ধর্ষণের দায়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত ইসলামী নেতা দেলওয়ার হোসেন সাঈদির বিরুদ্ধে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে। গণমাধ্যমটিতে সাঈদির পরিচয় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে একজন ইসলাম প্রচারক হিসেবে।
এদিকে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকাতেও দেলওয়ার হোসেন সাঈদিকে একজন ধর্ম প্রচারক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট দেলওয়ার হোসেন সাঈদির বিরুদ্ধে দেয়া মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে।’ টাইম অব ইন্ডিয়াতে সাঈদি ও সরকারের পক্ষের লোকজনের বক্তব্যও তুলে ধরা হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত ইসলামি নেতা দেলওয়ার হোসেইন সাঈদির বিরুদ্দে দেয়া মৃত্যদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে।’
গাল্ফ নিউজে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ধর্ম প্রচারক দেলওয়ার হোসেন সাঈদির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’ খবরটিতে রায়ের পর পুলিশের সঙ্গে সরকার পক্ষের লোকজনের ও সাঈদি সমর্থকদের সংঘর্ষের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে সাঈদি ভক্তদের জঙ্গী হিসেবে অভিহিত করা হয়।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের সংবাদে বলা হয়, ‘বুধবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসেন সাঈদির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে।’ সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে অপ্রত্যাশিত হিসেব উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য শুধুমাত্র পাকিস্তানি পত্রিকা ডনেই দেলওয়ার হোসেন সাঈদিকে জামায়াত নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যান্য প্রত্যেকটি গণমাধ্যমই সাঈদির জামায়াত পরিচয়ের থেকে ইসলাম প্রচারক পরিচয়টাকেই বেশি হাইলাইট করার চেষ্টা করেছে।