নিজস্ব প্রতিবেদক
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিলে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের কাছে দেয়া বিল পুনর্বিবেচানার জন্য আবারো সংসদে পাঠাতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে দলটির যুগ্ম-সহাসচিব মো. শাহজাহান রাষ্ট্রপতির কাছে এ আহ্বান জানান।
শাহজাহান বলেন, ‘দেশের মানুষের প্রতি সাড়া দিয়ে সংবিধান সংশোধন বিল অনুমোদনের জন্য যখন রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যাবে তখন তা পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে পাঠানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি দাবি করে বলেন, ‘জনগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে সারাদেশে হরতাল পালন করছে। হরতালে দেশবাসী সাড়া দিয়েছে।’ এজন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা পিকেটিং, মিছিল সমাবেশ করেছে। এর মাধ্যমে সরকারের কাছে জনগণ একটা বার্তা দিয়েছে। এদেশের মানুষ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না। আমরা আশা করবো সরকার জনগণের বার্তা বুঝতে সক্ষম হবে।’
মো. শাজাহান বলেন, ‘আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ করবো ষোড়শ সংশোধনী যখন রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যাবে তখন জনগণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রপতি বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে পাঠাবেন। তাহলে বিলটি আইনে পরিণত হবে না।’
‘দেশের গণমানুষের দাবি আদায়ে হরতাল’ উল্লেখ করে হরতালে বাধা না দিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত সহনীয় আচরণ করতে সরকার ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
‘ভোর থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে ২০দলীয় জোটের ২৫/৩০জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিকেল ৫টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করবেন এবং পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জানাবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিলটি পাস হওয়ায় বিচারপতিরা সংসদের কাছে দায়বদ্ধ। ১৯৭২ সালের সংবিধানেও বিষয়টি এমনই ছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে সুপ্রিম জুডিশিয়ালের কাউন্সিলের হাতে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা দেন।