নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্যায়ভাবে আটদিন কারাগারে আটক রাখায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চাইলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
ক্ষতিপূরণ চেয়ে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বিকাশ কুমার সাহা, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানউল্লাহ, মানিকগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ হারুন-অর রশিদকে (তৎকালীন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) একটি লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। পাঁচজনকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা দিতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানানো হয় নোটিশে।
সোমবার ব্যারিস্টার খন্দকার মাহবুব উদ্দিন খোকনের পক্ষে সরকারি ডাকযোগে সবার কাছে এ লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ২০১২ সালের ২১ মে দ্রুতবিচার আইনে দায়ের করা একটি মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানউল্লাহর আদালতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জামিন প্রার্থনা করেন। তখন আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরপর ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ২১ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত এ আটদিন কারাগারে আটক থাকেন। পরে তিনি জামিনে বের হয় আসেন।
পরর্তীতে ওই বিচারকের নিয়োগ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিচারপতি নাঈমা হায়দারের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ আদেশ দেন, ‘বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ না থাকায় ওই ম্যাজিস্ট্রেটের দেয়া আদেশটি অবৈধ।’
হাইকোর্টের এ আদেশের পরই সংশ্লিষ্টদের কাছে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।