ঢাকাসোমবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টাঙ্গাইলে এলজিইডি অফিসে হামলাকারীরা প্রকৃত ঠিকাদার নয়!

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪ ৮:২১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Hamla
নিজস্ব প্রতিবেদক :

গত ৫ জুলাই ‘উৎকোচ নিয়েও বিল না দেয়ায় টাঙ্গাইল এলজিইডি অফিস ভাঙচুর’ শিরোনামে একটি সংবাদ দৈনিক পাঞ্জেরীতে প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের পর টাঙ্গাইল জেলার এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদলিপি সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। এরপর দৈনিক পাঞ্জেরী’র পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালানো হয় প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, এলজিইডি অফিসে ঐদিন যারা হিসাবরক্ষকের টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর এবং অফিসের স্টাফদের গালিগালাজ করেছে-তারা প্রকৃতপক্ষে ঠিকাদার নয়, তারা অন্যের নামে কাজ করে। তবে এ ঘটনার সাথে এলজিইডি অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মচারির ইন্ধন রয়েছে। তারা সুযোগসন্ধানী ও নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত থাকে। ঐ কর্মচারিরা টাঙ্গাইলের একটি প্রভাবশালী  মহলের ছত্রছায়ায় চলাফেরাও করে। এ ছাড়া তারা প্রভাব খাটিয়ে কাজের মান খারাপ করার চেষ্টা চালায়। সূত্র জানায়, নির্বাহী প্রকৌশলী ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ সরকারি কাজের গুণগত মান বজায় রাখতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করায় ঐ ঠিকাদারদের রোষাণলে পড়েন তারা। আর এ কারণে তারা এলজিইডি’র কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের গালিগালাজ করে নামধারী ঠিকাদাররা। শুধু তাই নয়, অফিস স্টাফদের লাঞ্ছিতও করে।
জানা গেছে, উল্লেখিত দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাহী প্রকৌশলী ঐ নামধারী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। অনুসন্ধানে ‘ঠিকাদার নুরুল ইসলামের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে বেশি বিল দিয়েছে আর তাদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে বিল দেয় নাই’ এমন তথ্যের সত্যতা নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, ১টি ব্রিজের কাজে উপজেলা প্রকৌশলী কর্তৃক সুপারিশকৃত বিল থেকেও কম বিল দেয়া হয়েছে নুরুল ইসলামকে। পাশাপাশি হামলাকারীদেরও বিল দেয়া হয়েছে। কিন্তু এলজিইডি’র হিসাব রক্ষকের হিসাবের সাথে ট্রেজারির হিসাবের গরমিল থাকায় জুন মাসের শেষ মুহূর্তে তারা পুরো বিলটা পায়নি বিধায়-২/৩জন নামধারী ঠিকাদার এলজিইডি অফিসে এসে গত ৩ জুলাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে  হিসাবরক্ষক জাহিদ তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলেন খুব শীঘ্রই ফান্ড আসবে এবং আসা মাত্রই আপনাদের বিল পরিশোধ করা হবে। এরপর ১৫ দিনের মধ্যে সরকারি বরাদ্দ পাওয়া মাত্র নির্বাহী প্রকৌশলী তাদের পাওনা পরিশোধ করেন।
এ ব্যাপারে সাধারণ ঠিকাদার ও অফিসের কর্মচারিরা জানান, যারা অফিসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে তারা প্রকৃত পক্ষে ঠিকাদার নয়, তারা অন্যের নামে কাজ করে, মাস্তানি করে। তারা আরো বলেন, বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী যোগদানের পর উন্নয়নমূলক কাজের গুণগত মানের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুত উন্নয়নমূলক কাজগুলোর সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তার সুনামও রয়েছে বলে সাধারণ ঠিকাদাররা জানান। নির্বাহী প্রকৌশলী একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ভাল কাজ করতে হলে কিছু বাধা আসবে; এ জন্য আমি বিচলিত নই। কাজের গুণগত মান অবশ্যই বজায় রেখে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে যাব; এতে করে যত বাধাই আসুক কোন প্রকার আপোস করবো না; ইনশাল্লাহ। তিনি আরো বলেন, বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রকল্প স্থানে উন্নয়ন কাজ সঠিকভাবে করানোর জন্য তদারক কর্মকর্তা পাঠিয়ে গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই কারণে ঐ বিশৃঙ্খলাকারীরা এলজিইডি’র কর্মকর্তাদের উপর ক্ষিপ্ত এবং বিভিন্ন সময়ে প্রকল্প স্থানে ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মচারিদের গালমন্দ করে এবং মানসিক ও শারীরিক লাঞ্ছত করেছে। ঐ দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে হামলাকারীদের নামে গত ৭ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করেছে। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এডিশনাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।