ঢাকাসোমবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিবিরোধী আন্দোলন

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

jadavpur-universityআন্তর্জাতিক ডেস্ক

গত ২৮ অগাস্ট এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন এখন নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে শ্লীলতাহানির সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত বিচারের দাবিতে ছাত্রছাত্রী মাঠে নামলেও বর্তমানে আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অপসারণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
এ আন্দোলনকে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন শাসকশ্রেণি ভিন্ন পথে প্রবাহিত করতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী মমতার ব্যানার্জির ভ্রাতুষ্পুত্র দলের যুব অংশের প্রধান অভিষেক ব্যানার্জি ইতোমধ্যে আন্দোলনকারীদের ভাঁড় ও মাদকসেবী হিসেবে আখ্যায়িত করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যখন ভিসি অপসারণ আন্দোলনে মুখরিত তখন তৃণমূল নেতারা আজ ২২ সেপ্টেম্বর এর বিরুদ্ধে একটি পাল্টা মিছিল দাঁড় করাতে চাইছেন বলে জানা গেছে। পাল্টা মিছিলে চলমান ছাত্র আন্দোলনে উত্থাপিত দাবিগুলোকে অসার ঘোষণা করে স্লোগান দেয়া হবে। জানা গেছে, পাল্টা মিছিলের জন্যে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ২০,০০০ ছাত্রছাত্রী সংগ্রহের অভিযান চলছে।
তবে সিপিএম ও তৃণমূল নেতারা আন্দোলনকারীদের ‘বহিরাগত’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তারা উপস্থাপিত করেছেন ছাত্রদের একটি স্লোগানকে। স্লোগানটি ছিল- এই শতকের দুটি ভুল/ সিপিএম আর তৃণমূল। নেতাদের দাবি, এ স্লোগান রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং এর পেছনে ‘পাকা মাথার খেল রয়েছে।’
পাল্টা মিছিলে অভিষেক ব্যানার্জিও উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া আরও অনেক ‘চমক’ থাকবে বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের সপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচনার ঝড় বইছে। পক্ষে বিপক্ষে একাধিক ফেসবুক পেইজ খোলা হয়েছে, যেখানে আন্দোলনকারী ও প্রতিরোধকারীরা পৃথক স্লোগানে সাইবার যুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছেন।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, ছাত্রী লাঞ্ছনার সঠিক তদন্তের জন্যে গঠিত কমিটিতে দুইজন বিতর্কিত তদন্তকারীকে অপসারণ ও কমিটিতে ছাত্রদের উপস্থিতি দাবি করছিল আন্দোলনকারীরা। এ উদ্দেশ্যে সমবেত সমাবেশে ১৭ তারিখ রাতে ভিসির নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাতি নিভিয়ে সরকারি পেটোয়া বাহিনী ছাত্রদের ওপর লেলিয়ে দেয়া হয়। এরপরই আন্দোলন ভিসি অপসারণের দাবিতে পরিণত হয় বলে জানা গেছে।