ঢাকামঙ্গলবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুর্নীতি মামলা
আদালতের প্রতি অনাস্থা খালেদার

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪ ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

khaleda

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দায়ের করা দুটি সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহন করায় আদালতের প্রতি লিখিত অনাস্থা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

সোমবার পুরান ঢাকার বকশী বাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতের এজলাসে এই অনাস্থা দাখিল করা হয়।

নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে অনুপস্থিতি ও সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে দুটি মামলার কার্যক্রম সংক্রান্তে লিভ টু আপিল বিচারাধীন উল্লেখ করে দায়ের করা দুটি সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণ করায় আদালতের প্রতি এই লিখিত অনাস্থা জানান খালেদা জিয়া।

এদিন ওই আদালতে সাক্ষ্যগ্রহনের জন্য দিন ধার্য ছিল। দুইটি দুর্নীতির মামলার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট্রের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাক্ষ্য নেয়া শুরু করেছেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদের রায়। বিচারক মামলাটির বাদীর আংশিক সাক্ষ্যগ্রহনের পর আগামী ১৩ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহনের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

বিচারক এজলাসে বসার পর নিরাপত্তার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে আসতে পারেননি উল্লেখ করে একটি এবং সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে দুটি মামলার কার্যক্রম সংক্রান্তে লিভ টু আপিল বিচারাধীন রয়েছে উল্লেখ করে আরেকটি সময় আবেদন দাখিল করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

ওই আবেদনগুলোর ওপর শুনানি শেষে বিচারক তা নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেন। এরপর আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে ৬৩ ডিএলআর এ উল্লেখিত সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি চান। শুনানি শেষে ওই আবেদনও নামঞ্জুর করেন আদালত।

এরপর বার কাউন্সিল ও আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোমবার সারাদেশে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে উল্লেখ করে সাক্ষ্যগ্রহণ মূলতবি চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়। বিচারক শুনানি শেষে তাও নামঞ্জুর করেন।

শেষে উক্ত আদালতে ন্যায় বিচারক পাওয়া যাবে না উল্লেখ করে বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ মূলতবি চান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। কিন্তু এরপরও বিচারক ওই আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহনের নির্দেশ দেন।

সাক্ষ্যগ্রহন মূলতবির সব আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর বিচারক দুদকের উপ-পরিচালক ও এ মামলার বাদী সাক্ষী হারুন অর রশিদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিট থেকে ১২টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত এ সাক্ষ্যগ্রহন কার্যক্রম চলে।

প্রথমে আদালতে এ সাক্ষি তার নাম-পরিচয় উল্লেখ করার পর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ফাণ্ডের টাকা আত্মসাৎ করতে সোনালী ব্যাংকে একটি হিসাব খোলেন বলেও উল্লেখ করেন। আংশিক সাক্ষ্য গ্রহনের পর বিচারক আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ মূলতবি করেন।

সাক্ষ্যগ্রহনের পর দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, ‘মামলার ৪০ কার্যদিবসে মাত্র পাঁচবার আদালতে উপস্থিত হয়েছেন খালেদা জিয়া। বিভিন্ন অজুহাতে তার অনুপস্থিতি দেখিয়ে এ মামলার কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করা হচ্ছিল। তাই আদালত আজ  সোমবার) সাক্ষ্যগ্রহন করেছেন।’

গত ১৯ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্রের ওই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ওইদিনই ২১ এপিল প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন বিচারক।

আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার আবেদন বিচারাধীন থাকার কারণে এরপর ৯ বার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ঠিক করা হয়।

উল্লেখ্য, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

আসামি তারেক রহমান সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু হতেই পলাতক।