পাঞ্জেরী ডেস্ক
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জলবায়ু সম্মেলনে প্রধামনমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের পাশে একটি হোটেলে প্রেসিডেন্ট ওবামা ও ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামার অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন শেখ হাসিনা। তাকে অভ্যর্থনা জানান ওবামা ও মিশেল ওবামা। তখনই প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন ওবামা।
এর আগে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলন-২০১৪ এর অধিবেশনে ‘ন্যাশনাল অ্যাকশন অ্যান্ড অ্যাম্বিশন অ্যানাউন্সমেন্ট’ শীর্ষক অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষায় কার্বন হ্রাসের অঙ্গীকার জোরদার করার জন্য বৃহৎ কার্বন নির্গমণকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘কার্বন হ্রাস এবং জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় সামর্থ অর্জনের মহাসড়ক ধরে অগ্রসর হতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কার্বন নির্গমণকারী বৃহৎ দেশগুলোর উচিৎ অনুরূপ প্রচেষ্টা চালানো। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ কখনো উন্নয়নশীল বিশ্বের গড় মাথাপিছু নির্গমণের সীমা অতিক্রম করবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অভিযোজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অবনতিশীল পরিস্থিতির দিকে আমাদের ঠেলে দেয়া উচিৎ নয়। আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই জোরালো অঙ্গীকার ও প্রচেষ্টা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টেন্ডেড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিশনের (আইএনডিসি) ব্যাপারে প্রতিটি দেশকে পরিষ্কার ঘোষণা দিতে হবে এবং এই ঘোষণা প্রমাণযোগ্যভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আইএনডিসির ব্যাপারে বাংলাদেশ সম্ভাব্য সব কাজ করে যাচ্ছে। তবে তা বাস্তবায়নে নতুন ও অতিরিক্ত সম্পদের প্রয়োজন হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘১০ বছর মেয়াদি একটি- ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ বাস্তবায়নাধীন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে দুর্যোগ সহনীয় বিভিন্ন ধরনের শস্য উদ্ভাবন করেছে।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজি) সভাপতি সাম কুটিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বলিভিয়া, ব্রাজিল, তুরস্ক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রিয়া ও উগান্ডার প্রেসিডেন্টরাও বক্তব্য রাখেন।