কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
ভারতের কুচবিহারে বিএসএফের সেক্টর হেডকোয়াটারের বিশেষ আদালতে ৪র্থ দিনের মতো চলছে ফেলানি হত্যার পুনঃবিচারের শুনানি।
এ কথা জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ৪র্থ দিনের মতো বিচার কাজ অব্যাহত রয়েছে।’
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম, মামা আবু হানিফ, কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন ও ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন আকন্দসহ ৪ সদস্যসের প্রতিনিধি দলকে বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দিতে প্রস্তত রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলেই ভারতে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
গত ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) কোচবিহারের বিএসএফের সদর দপ্তরে স্থাপিত বিশেষ আদালতের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে এ বিচার কাজ শুরু হয়।
বিচারিক আদালতের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার চৌধুরী হাট সীমান্তের আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার ৯৪৭ এর নিকট ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিশেষ আদালতের একটি প্রতিনিধি দল।
এ দিকে ভারতে বিএসএফের বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার সব প্রস্ততি সম্পন্ন করে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ফেলানীর বাবা, মামাসহ ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি। ফেলানী হত্যার পুনঃবিচারে এবার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করছেন ফেলানীর পরিবার, পাবলিক প্রসিকিউটরসহ এলাকাবাসী।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী তার বাবার সঙ্গে ভারত থেকে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন।
২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। বিশেষ আদালতে অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে সাক্ষী দেন ফেলানীর বাবা ও মামা। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিশেষ আদালত অমিয় ঘোষতে বেকসুর খালাস দেন।