সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ দুইজন আহত হয়েছেন। হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র ধর্মঘট ডেকেছে ছাত্রলীগ।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ হামলার ঘটে। পরে রাত ১২টায় ছাত্র ধর্মঘটের ঘোষণা দেন শাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অঞ্জন রায়।
জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গেটের সামনে মামনি রেস্টুরেন্টের পাশে আড্ডা দিচ্ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য উত্তম কুমার দাস, শাবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অঞ্জন রায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা বিজিত লাল দাশ ও আইনুল ইসলাম।
এসময় হঠাৎ তিনটি মোটরসাইকেলে করে ৬-৭ জন মুখোশধারী যুবক এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তারা উত্তম ও আইনুলকে আহত করে। এসময় গুলির শব্দও শোনা গেছে।
দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর সহকর্মীরা উত্তম ও আইনুলকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে উত্তমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বুধবার রাতেই ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে স্কয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। দুঘণ্টা অবরোধের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। তবে ছাত্রধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে।
হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ শাবি শিবিরের স্কুল বিষয়ক সম্পাদককে আটক করেছে।
বুধবার রাতেই হামলার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অঞ্জন রায় বাংলামেইলকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগকে অকার্যকর ও নেতৃত্বশূন্য করতে রাতের আঁধারে শিবির ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে। এর আগেও শিবির বিভিন্ন সময় একই কায়দায় ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হামলা করেছে।
আহত উত্তম কুমার দাস ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও শাবিপ্রবির সোস্যাল ওয়ার্ক বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ও আইনুল ইসলাম ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা ও অ্যান্থোপলজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।