লাইফস্টাইল ডেস্ক
মাইগ্রেনের ব্যথা মাথার যে কোনো এক পাশ থেকে শুরু হয়ে বিস্তৃত আকার ধারণ করে। ব্যথায় রোগীদের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। মূলত রক্তে সেরোটোনিন বা ফাইব এইচটির মাত্রা পরিবর্তিত হলে এ সমস্যা হয়। আর তখন শিরাগুলো ফুলে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ কমে যায়। তবে মাইগ্রেনের রুগীদের জন্য সুখবর! এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়াই যোগাসনের মাধ্যমে ব্যথার তীব্রতা কমিয়ে আনা সম্ভব।
সম্প্রতি হেডেক জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মেডিটেশন বা যোগাসনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা মাইগ্রেন ব্যথাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
গবেষণা চালানো হয় ১৯ জন মাইগ্রেন আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে। এদের প্রত্যকেই চার ঘণ্টা ব্যাপী মাইগ্রেন ব্যথায় ভোগেন। ব্যথার তীব্রতা ১০ এর স্কেলে ৬ থেকে ১০ মাত্রার। এদের অনেকেই ব্যথার কারণে অন্যান্য কাজও করতে ব্যর্থ হন।
এই ব্যক্তিদের দুটো ভাগে ভাগ করা হয়। একটি দলকে মাইগ্রেন ব্যথা নিরাময়ের সাধারণ ওষুধ দেয়া হয়। অন্য দলকে মাইগ্রেন সারাতে মাইন্ডফুলনেস-বেসড স্ট্রেস রিডাকশন (এমবিএসআর) নামক বিশেষ প্রক্রিয়ায় যোগাশনে অভ্যস্ত করে তোলা হয়।
পরে দেখা যায়, ওষুধ ব্যবহারকারী দলের চেয়ে মেডিটশন নির্ভর দলে মাইগ্রেনের তীব্রতা এবং ভয়াবহতা অনেক কমে এসেছে।
গবেষকদল জানান, কাজে মনোযোগ তৈরির মাধ্যমে এ অসাধ্য সাধন করা হয়েছে। তবে এ পদ্ধতি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন তারা।