ঢাকাশুক্রবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী হাসপাতালে

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৪ ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Hatibandh-ppলালমনিরহাট প্রতিনিধি

‘হাতের আঙুল দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। সেই রক্ত গড়িয়ে বই খাতা ভিজে গেছে। তবুও খতিবর স্যারের বেত্রাঘাত থামছিল না।’ বলতে বলতে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী তসলিমা আক্তার (১৪)।
বৃহস্পতিবার হাতীবান্ধা শমসের উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক খতিবর রহমানের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী এখন হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীসহ অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক নূরজ্জামান বৃহস্পতিবার ছাত্রীদের খেলার মাঠে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। এমন সময় ওই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক খতিবর রহমান নবম শ্রেনীর ছাত্রী তাসলিমাকে ডাক দেয়। এতে তার ক্লাসে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় শিক্ষক খতিবর তাকে বেধড়ক বেত্রাঘাত শুরু করেন। শিক্ষকের বেত্রাঘাতে তাসলিমার বাঁ হাতের আঙুল ফেটে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়। শুধু তাই নয়, শরীরের বিভিন্ন অংশে অসংখ্যা বেত্রাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে তার শরীরে।
শুক্রবার হাতীবান্ধা হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাঁতারাচ্ছে মেয়েটি। পাশে বসে মা এসমোতারা অঝরে কেঁদে চলেছেন। বাবা আব্দুস সালাম মেয়ের চিৎকার চেঁচামেচি দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না।
আব্দুস সালাম বলেন, ‘তিনি সামান্য ভ্যানচালক হলেও ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় বেশ ভালো। মেয়ে তাসলিমা চলতি বছর নবম শ্রেণীতে ৩ রোল করে বাবা-মাকে বেশ খুশি করেছে। সেই মেয়ে আজ শিক্ষকের বেধড়ক পিটুনিতে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবে ভাবতে পারিনি।
হাতিবান্ধা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রমজান আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়েটির সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, সেরে উঠতে সময় লাগবে।’
শিক্ষক খতিবর রহমানের দাবি, তিনি তাসলিমাকে বেত্রাঘাত করেননি। তবে ক্লাসের বেঞ্জ লেগে ওই ছাত্রীর আঙুর ফেটে রক্তপাত হয়েছে।
এদিকে, ওই স্কুলের একাধিক ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক খতিবর রহমান প্রায় শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করেন। এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে কয়েকবার সতর্ক করলেও বিরত হননি তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় মেধাবী ছাত্রী তাসলিমাকেও বেধড়ক পিটিয়েছে শিক্ষক খতিবর এমন মন্তব্য অভিভাবকদের।
চলতি বছর ওই স্কুল থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রী মনিরা খাতুন জানায়, খতিবর স্যার এমন বদমেজাজি যে তাকেও একাধিক ক্লাসে বেত্রাঘাত করেছেন। একই কথা বলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্র জাহিদ হাসান জয়।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বাবুল বলেন, ‘তিনি জরুরি কাজে রংপুরে আছেন। ঘটনাটি শুনেছেন, ফিরে বিষয়টি দেখবেন।’