
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্যালেস্টাইনী জনগণের ইসরাইলের একতরফা হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি জনগণের যুদ্ধবিগ্রহের করুণ চিত্র তুলে ধরেছেন। যেভাবে আমরা পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী এখন শুধু বাংলাদেশেরই নেত্রী নন তৃতীয় বিশ্বের অবিসংবাদিত জননেত্রী।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ন্যাপ-ভাসানীর উদ্যোগে জাতিসংঘের ৬৯তম অধিবেশনে ‘সমরাস্ত্র নির্মাণের অর্থ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগে’ শেখ হাসিনার দাবির প্রতি পূর্ণসমর্থন ও অভিনন্দন জানিয়ে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
শামসুল হক টুকু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ দক্ষিণ এশিয়াসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহের কথা চিন্তা করে। একদিকে জলবায়ু আক্রান্ত দেশসমূহের কথা অপরদিকে সমরাস্ত্র প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে ঐসকল অর্থ শিক্ষা খাতে ব্যয় করার কথাও উল্লেখ করেছেন। এসব কারণে বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে ঈদের পরে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির কথা ব্যক্ত করেছে। আমরা এদেশের স্বাধীনতা প্রিয় মানুষ ৫ জানুয়ারির মতো গণপ্রতিরোধ ও মানবপ্রাচীর গড়ে তুলব।’
এ ব্যাপারে তিনি দেশবাসীকে আরো সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং তাদের হীন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলারও দীপ্ত শপথ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির ভাষণে মোসতাক আহমেদ ভাসানী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য শান্তিচুক্তি করেছে বিধায় জাতিসংঘ অধিবেশনে সমরাস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ শিক্ষা খাতে ব্যয় করে তৃতীয় বিশ্বের মানুষদেরকে সুশিক্ষিত ও সুন্দর জীবনযাত্রা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই উক্তি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে বলেছেন। কারণ শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। নেপোলিয়ান বলেছিলেন আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও- আমি একটি শিক্ষিত জাতি দেব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবারের বাজেটে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি বাজেট বরাদ্দ রেখেছেন।’
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শান্তির স্বপক্ষে কথা বলার জন্য নোবেল পুরস্কার প্রদানের দাবি’ করেন তিনি।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ এম.পি, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।