নিজস্ব প্রতিবেদক
পূর্ণাঙ্গ উপজেলা পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে চতুর্থ উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঈদুল আজহার পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার নির্বাচন কমিশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সীমানা নির্ধারণসহ নানাবিধ জটিলতা নিরসন করেছে ইসি। ৭ দফা চিঠি দেয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ৫২টি জেলার সীমানা ও এলাকা নির্ধারণের গেজেটের কপি নির্বাচন কমিশন হাতে পেয়েছে। বাকি ১২ জেলার গেজেটের কপি পাওয়ার জন্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ইসি। নির্বাচনের আগে ইসির হাতে এসব গেজেটের কপি পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সব কিছু ঠিক থাকলে ঈদের পরপর নির্বাচনের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনে ধাপে ধাপে নির্বাচন করার থাকলেও এখন নির্বাচনে চলমান সহিংসতার কথা বিবেচনায় এক দিনেই করার পরিকল্পনা করছে ইসি। এটা সম্ভব না হলেও বিভাগীয় ভিত্তিতে করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র।
এ বিষয়ে ইসির জ্যেষ্ঠ এক কমিশনার বলেন, ‘বিধিমালা অনুযায়ী সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন জটিলতার কারণের তৃতীয় উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। কয়টি ধাপে এ নির্বাচন করা হবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এক সঙ্গে নির্বাচন করা সম্ভব না হলেও বিভাগীয় ভিত্তিতে করা যেতে পারে।’
এবার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় হাজার নারী জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বিধান অনুযায়ী পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে এ জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে।
বিধিমালায় সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও আইনি জটিলতার কারণে তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেনি ইসি। ফলে তারা বঞ্চিত ছিলেন।
বিধিমালা অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করবেন। আর এই সদস্যদের সংখ্যা হবে উপজেলায় ইউনিয়ন ও পৌরসভাগুলোর মোট নারী সদস্যের এক তৃতীয়াংশ।
এছাড়া উপজেলাতে ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা থাকলে উপজেলায় নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসন হবে ৪টি। ইউপি/ পৌরসভার সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরাই সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে ভোটার এবং প্রার্থী হতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের উপজেলা পরিষদ আইনে তফসিল আকারে অন্তর্ভুক্ত উপজেলার সংখ্যা ছিল ৪৮০টি। তবে ২০০৯ সালে তা বাড়িয়ে ৪৮১টি করা হয়। পরে ২০১১ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়।