আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় দোষী সাবস্ত্য হয়েছেন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। শনিবার বেঙ্গালোরের বিশেষ এক আদালতে ১৮ বছরের ধরে ঝুলে থাকা দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটির বিচার অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার আরো পরের দিকে জয়ললিতার শাস্তি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। মামলার রায় যাই হইক না কেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে যে তার মসনদ হারাতে চলেছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে কর্ণাটকের বেঙ্গালোর এবং চেন্নাইসহ পুরো তামিলনাড়ুতে। এআইএডিএমকে কর্মী-সমর্থকরা জোরজবরদস্তি তামিলনাড়ু-কর্নাটক সীমানা পেরোনোর চেষ্টা করে। হোসার রোড জংশনে এমনই একদল এআইএডিএমকে কর্মীদের ঠেকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। দুই রাজ্যের সীমানায় জড়ো হয়েছেন প্রচুর এআইএডিএমকে কর্মী-সমর্থকরা। তবে পুলিসের বাধায় তাঁরা সেখানেই আটকে আছেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হোসার এবং বেঙ্গালোরের মধ্যে শনিবার বাস চলাচল বেশ কিছুক্ষণ ধরে বন্ধ রাখা হয়।
মামলার রায় জানতে শনিবার সকালেই চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা হন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৯৬ সালে জয়ললিতার বিরুদ্ধেেএ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।।প্রায় আঠেরো বছর ধরে মামলাটি চলার পর শনিবার তাকে দোষী করা হল। দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বান্ধবী শশীকলাকেও।
এদিকে মামলার প্রসিকিউশন জানায়, ১৯৯১ সালে জয়ললিতা যখন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন তখন তার ৩ কোটি রুপির সমমূল্যের সম্পদ ছিল । সে সময় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার বেতন ছিল মাত্র এক রুপি। কারণ তিনি ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী হলে তিনি কোনো বেতন নেবেন না। কিন্তু ক্ষমতার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে তার পরিবারের সম্পদের মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ কোটি রুপিতে। যা তার তৎকালীন আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলো না।
অভিযোগে বলা হয়, জয়ললিতা দুই হাজার একর জমি, ৩০ কেজি স্বর্ণের মালিক। এছাড়া তার শাড়ির সংখ্যাই নাকি ১২ হাজার। এছাড়া ১৯৯৬ সালে পালিত ছেলের বিয়েতে তিনি পাঁচ কোটি রুপি ব্যয় করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এগুলোর কোনটিই তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগটি প্রমাণ করার জন্য সরকারের পক্ষে মোট দুইশ’ ৫৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। আর জয়ললিতার পক্ষে সাক্ষ্য দেন ৯৯ জন। তবে জয়ললিতার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই বিরোধীরা এ কাজটি করেছেন।