ঢাকাশনিবার , ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাসিনাকে ছাড় দিতে চায় এনডিএফ!

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Hasina-and-Niluনিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান ১০ দলের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা নতুন জোট ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু।
তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়া থেকে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন করেন এবং সেখানে তার শক্ত অবস্থান রয়েছে তাই ঢাকা-১৫ (মিরপুর-কাফরুল) আসন থেকে আগামী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শেখ শওকত হোসেন নিলু এতোদিন টুঙ্গিপাড়া থেকে নির্বাচন করে আসছিলেন।
নাম সর্বস্ব দল নিয়ে ক্ষুদ্র জোট গঠন করলেও আগামী ৬ মাসের মধ্যে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরির কথা ভাবছে সদ্য গড়ে ওঠা এনডিএফ। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান ও কৃষক-শ্রমিকের অধিকার আদায়ে আগামী ১০ নভেম্বর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ হবে বলেও জানান নিলু।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ নদলীয় জোট আর সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বাইরে দেশের রাজনীতিতে আলোচনায় রয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির একাংশের নেতৃত্বাধীন ১০ দলীয় জোট।
জোটের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন শেখ শওকত হোসেন নিলু। দলগুলো হলো- ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), ন্যাপ ভাসানী, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগো দল), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি, তৃণমূল ন্যাপ-ভাসানী এবং ভাসানী ফ্রন্ট। এর মধ্যে নিবন্ধন রয়েছে এনপিপি, এনডিপি, বিএমএল এবং জাগো দলের।
রাজধানীতে ১০ দলের এই নতুন জোটের ৪টি দলের নিবন্ধন থাকলেও বাকি দলগুলোর খোদ রাজধানীতেই কোনো কার্যক্রম এবং কার্যালয় নেই। এনপিপি আর বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির কার্যালয় থাকলেও তা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। যে দলগুলোর নিবন্ধন রয়েছে তা নিয়েও আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে।
জোটের চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলুর নিজের দলেরই নেই স্থায়ী কার্যালয়। পুরানা পল্টন লাইনের একটি ভবনের তৃতীয় তলার ছোট তিন কামরা ভাড়া নেয়া হলেও, নেই কোনো সাইনবোর্ড, কিংবা কর্মী।
এমন প্রেক্ষাপটে আগামী ১০ নভেম্বর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে নতুন জোটটি। পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করারও চিন্তা রয়েছে তাদের।
১০ দলীয় জোটের চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু জানান, দ্রুত সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান, শ্রমিক এবং কৃষকদের দাবি নিয়ে সমাবেশ করবেন তারা।
নাম সর্বস্ব দল নিয়ে জোট গড়া প্রসঙ্গে তার সহজ স্বীকারোক্তি, ‘বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার জোটেও নাম সর্বস্ব দল রয়েছে। আমার জোটেও আছে।’
তার ভাষায় বড় বা ছোট আপেক্ষিক। জোট তো জোটই। তিনি উদাহরণ দেন পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির কথা। বলেন, সেখানে সিপিএম আর কংগ্রেসের যে আধিপত্য ছিল তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে ভাগ বসিয়েছে। অথচ এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল শুধু পশ্চিমবঙ্গে।
আগামী ৬ মাসের মধ্যে ১০ দলীয় জোট তাদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করেন শেখ শওকত হোসেন নিলু।
রাজনীতির ঈষাণ কোণে কালো মেঘ দেখছেন না কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের এই জোট শুধু আন্দোলনের জন্য নয়। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তারা সরকারও গঠন করবে।’
দলীয় সরকারে অধীনে ১০ দলীয় জোট নির্বাচন অংশ নেবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে নিলু বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনেও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে।’ এক্ষেত্রে তিনি ভারতের নির্বাচন কমিশনের উদাহরণ টানেন। বলেন, ‘সাম্প্রতিক নির্বাচনে কমিশন ৩৮ জন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।’
ঘৃণার মাধ্যমে দুই নেত্রী তাদের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন মন্তব্য করে শেখ শওকত হোসেন নিলু বলেন, ‘ঘৃণা নয়, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়তে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২২ অক্টোবর এনপিপির অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আশা করছি তারা থাকবেন।’
১০ দলীয় জোটের বেশিরভাগ দলের একাংশ রয়ে গেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে।  সেখান থেকে যারা দশ দলীয় জোটে এসেছেন তারা সবাই মূলত বহিষ্কৃত।
এনডিএফের অন্যতম শরিক ইসলামিক পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম এ রশিদ প্রধান জানান, শান্তিনগরে তাদের কার্যালয় রয়েছে। ২০১২ সালে তার দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। তিনি আশা করছেন খুব শিগগিরই তাদের নিবন্ধন দেয়া হবে।
ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মবিন হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন। তিনি ফিরলে ইসলামিক পার্টির পূর্ণ অংশ ১০ দলীয় জোটে যোগ দেবে বলে জানান তিনি। ২০ দলীয় জোটে বিএনপি ছোট দলগুলোর প্রতি চরম অবহেলা করে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এমএ রশীদ।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আলমগীর মজুমদার, আব্দুল মালেক চৌধুরীর জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল বা জাগো দল, সেকান্দার আলী মনির বাংলাদেশ লেবার পার্টি, পারভীন নাসের ভাসানীর তৃণমূল ন্যাপ-ভাসানী ও শহীদ চৌধুরীর বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি নেতাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তবে ন্যাপ ভাসানীর আনোয়ারুল হককে পাওয়া গেলেও তিনি অসুস্থ রয়েছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।