নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএসএফের গুলিতে নিহত ও কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারের ক্ষেত্রে ন্যায় বিচারে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেস সংঘ (বিএমও)।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ব-বিবেক দেখেছে কীভাবে কিশোরী ফেলানীকে হত্যা করে বিএসএফ সদস্যরা তাকে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল।
বক্তারা বলেন, আমরাও উভয় দেশের নাগরিক (ভারত-বাংলাদেশ) সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু সীমান্তে মানুষ হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
এসময় দুই দেশের সম্পর্ক আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবি গুলো হলো- ১. ফেলানী হত্যায় জড়িত বিএসএফের অতিউৎসাহী সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান। অতীতের মতো এবারের বিচারও যেন প্রহসনে পরিণত না হয়। ২. প্রতি বছর ৭ জানুয়ারি উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগে ফেলানী দিবস পালন। ৩. সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্যাতন ও হত্যা বন্ধ। ৪. উভয় দেশের সীমান্তবর্তী মানুষ যাতে সহজে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে সে লক্ষ্যে বিশেষ পাসপোর্ট ইস্যু করা। কারণ আর্থিকভাবে অস্বচ্ছ মানুষ সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে স্বজনদের দেখতে গিয়ে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়। ৫. জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসবে নির্দিষ্ট সময়ে উভয় দেশের নাগরিকদের সীমান্তর্ব্তী এলাকায় সাক্ষাতের বিশেষ সুযোগ করে দেয়া। ৬. উভয় দেশের ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনে টিকিটের মূল্যের অসামাঞ্জস্যতা দূর করা।
মানববন্ধনে বিএমওর মহাসচিব আয়াতুল্লাহ আকতারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের মো. হাসান, রিয়াজ উল্লাহ, আল আমিন রিজভী, রাসেল আনান জিন্টু প্রমুখ।