আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নিউইয়র্কের গ্রাউন্ড জিরোতে ৯/১১’র সন্ত্রাসী হামলার পর দমকল বাহিনীর যে কর্মীরা কাজ করেছিলেন তাদের ৩ জন একই দিনে মারা গেছেন। তারা তিনজনই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন দমকল বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, সোমবার ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে তারা মারা যান। মৃত দমকলকর্মীরা হলেন লেফট্যানান্ট হাওয়ার্ড বিশকফ (৫৮), রবার্ট লেভার (৫৬) এবং ড্যানিয়েল হেগল্যান্ড (৫৮)। ৯/১১’র হামলার পর উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার কর্মী। পরে এদের অনেকেই ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওই হামলার সঙ্গে দমকলকর্মীদের অসুস্থতার কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
তিন দমকল কর্মীর মৃত্যু সম্পর্কে ফায়ার কমিশনার ড্যানিয়েল নিগ্রো বলেন,‘এদের মৃত্যু আবারও ওই বেদনাজনক হামলাকে মনে করিয়ে দেয়। “আমরা ১৩ বছর পরও এই বিভাগের সাহসী প্রচেষ্টার ভয়াবহ মূল্য দিয়ে যাচ্ছি।’ ইউনিফর্মড ফায়ার অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জেমস লেমন্ডা বলেন, “ওইদিন (১১ সেপ্টেম্বর ২০০১) প্রথম যারা সাড়া দিয়ে এই ধ্বংসস্তূপের কাছে এসেছিলেন তখন তারা বিষাক্ত বাতাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন। বেশ কয়েকমাস এখানকার বাতাসে বিষ ছিল।”
গ্রাউন্ড জিরোর বিষাক্ত ধূলাবালির সঙ্গে প্রায় ১ হাজার মৃত্যুর সম্পর্ক রয়েছে বলে কেউ কেউ অনুমান করেন।
৯/১১’র হামলার পর যেসব দমকলকর্মী এখানে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছিলেন তাদের অনেকেই শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগেছেন। আর শত শত উদ্ধারকর্মী যারা প্রথমেই সাড়া দিয়ে এখানে এসেছিলেন তাদের অনেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্ধারকর্মী ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরও হামলার ঘটনার সঙ্গে ক্যান্সারের কোন পরিষ্কার যোগসূত্র স্থাপন সম্ভব হয়নি।
নিউইয়র্কের দমকল বিভাগ বলছে, ৯/১১’র হামলায় অতিরিক্ত ৩৩৪ জন কর্মী মারা যান। এছাড়া অসুস্থতায় মারা গেছেন আরো ৮৯ জন।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (টুইন টাওয়ার) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। জঙ্গিরা ২ টি বিমান নিয়ে ১০০ তলার বেশি উঁচু ভবন দুটিতে হামলা চালায়। এতে ভবন দুটি ধসে পড়ে এবং কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। জাঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদা ওই হামলা চালিয়েছিল বলে সন্দেহ করা হয়ে থাকে।