ঢাকারবিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হিটলারের আত্মজীবনী ‘মাইন কাম্ফ’ নিষিদ্ধ করার দাবি

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৪ ৩:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

Hitlarপাঞ্জেরী ডেস্ক

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ইহুদি সম্প্রদায়ের ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হিটলারের জাতিবিদ্বেষমূলক বই ‘মাইন কাম্ফ’ বা ‘আমার সংগ্রাম’-এর পুনঃপ্রকাশ বন্ধ করে দেয়ার জন্য দাবি করা হয়৷ কারণ আজও এই বই জার্মানির নব্য নাৎসিদের উদ্দীপনা জাগায়৷
২০১৫ সালের শেষ নাগাদ শেষ হয়ে যাবে ‘কপিরাইটের’ মেয়াদ৷ ইহুদি কংগ্রেসে বলা হয়, এই রচনাটি চরম ইহুদি বিদ্বেষমূলক এবং ইতিহাসের বিশাল গণহত্যায় প্রেরণা জাগিয়েছে৷ আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নব্য নাৎসিরা তাদের বর্ণবৈষম্যমূলক প্রচারণার ক্ষেত্রে এই বই-এর সহায়তা নিয়ে থাকে৷ জাতিভেদের ব্যাপারে যুক্তি উত্থাপন করে থাকে৷
জার্মান-ইহুদি-কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রাক্তন প্রধান শারলটে ক্নোবলখ এই প্রসঙ্গে বলেন যে, তিনি হিটলারের ‘মাইন কাম্ফ’ পুনঃপ্রকাশের কঠোর বিরোধী৷ জার্মানিতে এই বই-এর কপি ও প্রচার করাও নিষিদ্ধ করতে হবে বলে দাবি জানান তিনি৷
বইটির মুদ্রণ ও বিক্রি নিয়ে অনেক বছর ধরে জার্মানিতে বিতর্ক চলে আসছে৷ সাংসদ, ইহুদিদের কেন্দ্রীয় পরিষদ ও ইতিহাসবিদরা বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন৷
সাধারণত লেখকের মৃত্যুর ৭০ বছর পর কপিরাইটের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়৷ এই নিয়ম অনুযায়ী ইউরোপব্যাপী ‘মাইন কাম্ফ’-এর কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ৷ এরপর যে কেউ এটি ছাপাতে পারে৷
সম্প্রতি রাজ্যের আইনমন্ত্রীদের এক সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সংখ্যালঘু ও বর্ণবৈষম্যমূলক বই পুস্তক ও লেখালিখির ব্যাপারে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ যার মধ্যে এই বইটিও পড়ে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির দক্ষিণে অবস্থিত বাভারিয়া রাজ্য বইটির প্রকাশনাস্বত্ব পায়৷ তারপর থেকে দেশে ও বিদেশে এটির পুনর্মুদ্রণ ও বিস্তৃতি রোধ করার চেষ্টা করে আসছে রাজ্যটি৷ অবশ্য জার্মানিতে ‘মাইন কাম্ফ’ সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হলেও আজ পর্যন্ত বইটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়নি৷ ইহুদি ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে বলা হয়, বই-এর দোকানে হিটলারের মাইন কাম্ফ চোখে পড়লে হলোকস্ট বা ইহুদি নিধনযজ্ঞে বেঁচে যাওয়া মানুষদের অনুভূতিতে আঘাত লাগবে৷ প্রকাশক ও পুস্তক ব্যবসায়ীদের উচিত হবে বইটির প্রকাশনা রোধ করতে সচেষ্টা হওয়া৷ নাৎসি বর্বরতার শিকার ইহুদিদের ব্যাপারে জার্মানির বিশেষ দায়বদ্ধতা রয়েছে৷ আর তাই ইহুদি বিদ্বেষমূলক বইটি যাতে বৈধভাবে বাজারে না আসতে পারে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে দেশটিকে৷ সেই সাথে অন্যান্য দেশের পুস্তক ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে৷ সর্বোপরি ‘মাইন কাম্ফ’-এর বিক্রি স্বেচ্ছায় বর্জন করতে হবে৷