আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তানে চলমান অস্থিরতা এবং সহিংসতার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন আশরাফ ঘানি। সোমবার রোজধানী কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তার শপথ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। দেশটিতে এবারই প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা স্থানান্তরের ঘটনা ঘটল।
তার শপথের মাত্র একদিন আগে কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একটি সামরিকযানে পেতে রাখা ওই বোমা বিস্ফোরণে এক গাড়িচালক আহত হয়েছেন।
চলতি মাসে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর পর আশরাফ ঘানিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করেছিল আফগানিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ওই সমঝোতা অনুযায়ী দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ঘানি। আর সরকারের প্রধান নির্বাহী হচ্ছেন আবদুল্লাহ। সোমবার আরো পরের দিকে তারও শপথ নেয়ার কথা রয়েছে। দুই নেতার শপথে আফগানিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের শতাধিক রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তা উপস্থিত রয়েছেন।
ঘানির এই শপথ গ্রহণের মাধ্যমে আফগানিস্তানে হামিদ কারজাইয়ের যুগের অবসান হল।
এদিকে আফগানিস্তানের তালেবান গোষ্ঠী ক্ষমতা ভাগাভাগির এই সমঝোতাকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাজানো নাটক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ফলে তারা যে বরাবরের মত ঘানি সরকারের বিরুদ্ধে সহিংসতা অব্যাহত রাখবে তা প্রায় নিশ্চিত। তবে ‘প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা পরিবর্তনের’প্রশংসা করে একে ‘বিরাট বিজয়’ বলে ঘোষণা করেছেন হবু প্রেসিডেন্ট ঘানি। গত সপ্তাহে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পর আফগানিস্তানের অর্থনীতিকে বেগবান করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ঘানি। তিনি দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূলে সহলের সহযোগিতা কামনা করেছিলেন।
এদিকে রোববার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেয়া শেষ ভাষণে হামিদ কারজাই নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে বলেছেন,‘দেশে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সে প্রচেষ্টা পুরোপুরি সফল হয়নি।’ এ সময় দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি নতুন সরকারকে সার্বিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।