ঢাকাসোমবার , ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চামড়া কিনতে ৫শ কোটি টাকা ঋণ দেবে ব্যাংক

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৪ ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

r613অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

এবার পবিত্র ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছর এ খাতে ঋণ দেওয়া হয়েছিল ৪৬১ কোটি টাকা।
এর বাইরে সরকারি মালিকানাধীন কয়েকটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ব্যাংক আরও কিছু ঋণ দেবে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চামড়া শিল্পের বিকাশে তারা এখন বেশ সোচ্চার। এ কারণে ঈদুল আযহার আগে প্রতিবছরই ব্যাংকগুলো চামড়া কেনার জন্য ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে থাকে। এজন্য এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং রপ্তানিকারকদের কাছে তাদের ঋণের চাহিদাপত্র চাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন শাখায়ও ঋণের চাহিদা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
সব মিলিয়ে ব্যাংকগুলো এবার গত বছরের চেয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বেশি ঋণ বিতরণ করবে।
জানা গেছে, জনতা ব্যাংক গত বছরের মত এবারও চামড়া কিনতে ২০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে সবগুলো শাখাকে এ খাতে যারা ঋণ চেয়েছেন তাদের ঋণ মঞ্জুরের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
সোনালী ব্যাংক এবছর ঋণের পরিমাণ আরও ২০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১৪০ কোটি টাকা করেছে। গতবছর এ খাতে তারা ঋণ দিয়েছিল ১২০ কোটি টাকা। ব্যাংকটির কাছে ৩টি চামড়া রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২০ কোটি টাকার চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বাকী অর্থ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চামড়া কিনতে ব্যবসায়ীদের দেয়া হবে বলে জানান তারা।
চেয়ারম্যান না থাকায় অগ্রণী ব্যাংকের এ খাতের ঋণ নীতিমালা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান এ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তবে সবকিছু ঠিক করা আছে। চেয়ারম্যান নিয়োগ হলেই বোর্ড মিটিংয়ে এটা পাশ করা হবে বলে জানান তারা। গত বছর ব্যাংকটি এ খাতে ৯১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছিল। এবার ২ থেকে ৫ কোটি টাকা বাড়তে পারে।
রূপালী ব্যাংকের এ খাতে ঋণ দেয়ার পরিমাণ গত বছরের চেয়ে ৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৭০ কোটি করা হয়েছে। গত বছর ব্যাংকটি ৬৫ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছিল।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো চামড়া কিনতে ব্যবসায়ীদের ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে থাকে। আর যারা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করে তারা সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারেন।
সোনালী ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো শামসুল আলম বলেন, আমরা এখন ঋণ প্রদান শুরু করেছি। এ সময়টাতে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ট্যানারি এ ঋণ প্রদান করছি। এ অনুযায়ী ব্যাংকের সব শাখাগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।
এ খাতে ঋণখেলাপির পরিমান কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ থেকে দশ বছর আগে এ খাতে অনেক গ্রহীতা ঋণখেলাপি হতো। কিন্তু এখন অবস্থা পাল্টে গেছে। এখন ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে আমরাও অনেক সচেতন। তাই খেলাপি ঋণ নেই বললেই চলে।
অগ্রণী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইসমাত পারভীন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই এ খাতে ঋণ প্রদান করছি।