ঢাকামঙ্গলবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ক্রিকেটে সহোদরেরা

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

স্পোর্টস ডেস্ক

গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট। ১৮ শতকে ইংল্যান্ডে এ খেলা শুরু হলেও উপমহাদেশে এর প্রভাব বেশি। খেলছেন অনেক রথি মহারথি। গড়েছেন রেকর্ড আবার ভেঙেছেনও। রাজকীয় এই খেলায় যুগে যুগে অনেক ক্রিকেটার খেলেছেন তাদের নিজ দেশের হয়ে। খেলেছেন বাপ-ছেলে, শালা-দুলাভাই, চাচা-ভাতিজা, নানা-নাতি, ও সহোদর। বাংলামেইলের ধারাবাহিকে আজ থাকছে ক্রিকেট সহোদর নিয়ে আয়োজনে প্রথম পর্ব:

নান্নু-নোবেল (বাংলাদেশ)

নান্নু-নোবেল (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সহোদরের মধ্যে নান্নু-নোবেল অন্যতম। বড় ভাই নুরুল আবেদীন নোবেল ছোট্ট ক্যারিয়ারে ৪টি একদিনের ম্যাচ খেলেন। তার অভিষেক হয় পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৮৬ সালে।
আরেক ভাই মিনহাজুল আবেদন নান্নু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক।
১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথম ও ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষেই শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি। ২৭টি একদিনের ম্যাচ খেলেন নান্নু।

নাফিজ ইকবাল-তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ)

নাফিজ ইকবাল-তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশ ক্রিকেটে আরেক সহোদর নাফিজ-তামিম। ক্রীড়া পরিবারেই তাদের জন্ম। তাদের বাবা ফয়সাল ইকবাল ফুটবলার ছিলেন। চাচা আকরাম খান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবিতে কর্মরত।
তামিম-নাফিজ দু’জনেই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। তামিম বর্তমানে জাতীয় দলে থাকলেও বড় ভাই দলের রয়েছেন বাইরে।
নাফিজ ইকবাল টেস্টে ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলে ডাক পান এবং ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়। ১১টি টেস্ট ও ১৬ টি ওয়ানডে খেলেন তিনি। খেলছেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও।
তামিম ইকবাল বর্তমানের জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তিনি। এখন পর্যন্ত ৩৪ টেস্ট ও ১৩০ একদিনের ম্যাচ খেলেছেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডেতে ৩৮২৪ ও টেস্টে ২৪৩৫ রান করেন তিনি।
ধর্মীয় অনুশাসনে বড় হওয়া পাঠান পরিবার বেশি পরিচিত ক্রীড়া পরিবার হিসেবেই। ইউসুফ-ইরফান দুজনেই অলরাউন্ডার ক্রিকেটার। খেলেছেন ভারতীয় দলে। বর্তমানে ভারতীয় জাতীয় দলের না থাকলেও উভয়েরই রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা।

ইউসুফ পাঠান- ইরফান পাঠান (ভারত)

ইউসুফ পাঠান- ইরফান পাঠান (ভারত)

বয়সে ছোট হলেও ইরফান জাতীয় দলে নাম লেখান বড় ভাইয়ের আগে।
২০০৩ সালে টেস্ট ২০০৪ সালে ওয়ানডে অভিষেক হয় এই অলরাউন্ডারের। ২৯ টেস্টে ১১০৫ রান ও ১০০ উইকেট নেন ছোট পাঠান।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১২০ ম্যাচে ১৫৪৪ রান ও ১৭৩  উইকেট লাভ করেন তিনি। খেলছেন আইপিএলসহ বিভিন্ন ঘরোয়া ক্রিকেটে।
বড় ভাই ইউসুফ পাঠানের অভিষেক হয় ২০০৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এপর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে ৮১০ রান ও ৩৩ উইকেট লাভ করেন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কারণে টি-২০টি হয়তো ভারতীয় দলে শিগগিরই দেখা যেতেও পারে।

(স্টিভ ওয়াহ, মার্ক ওয়াহ) অস্ট্রেলিয়া

(স্টিভ ওয়াহ, মার্ক ওয়াহ) অস্ট্রেলিয়া

অসি ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোকিত উজ্জল নক্ষত্র জুটি স্টিভ-মার্ক ওয়াহ। জমজ ভাই মার্ক ও স্টিভের মধ্যে মার্ক ওয়াহ কয়েক সেকেন্ডের বড়। তাদের আরো দুই ভাই ক্রিকেটার ডেনিয়েল ও ড্যান ততটা আলো ছড়াতে পারেননি।
মার্ক ওয়াহ ১৯৮৮ সালে ওয়ানডে ও  ১৯৯১ সালে টেস্ট দলে সুযোগ পান। বল-ব্যাট তুলে রাখার আগ পর্যন্ত ১২৮ টেস্টে ৮০২৯ রান ও ২৪৪ টি একদিনের ম্যাচে ৮৫০০ রান করেনি তিনি। বোলিংয়ে সমান সংখ্যক ম্যাচে যথাক্রমে ৫৯ ও ৮৫ উইকেট লাভ করেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও লিস্টে তার ৪০ হাজরেরও বেশি রান আছে। উইকেটও আছে ৪ শতাধিক।
অসি ক্রিকেটে সর্বকালের সেরাদের সেরা একজন স্টিভ ওয়াহ। শুধু একজন ভালো ক্রিকেটার ছিলেন না তিনি, ভালো  একজন নেতাও ছিলেন। জিতেছেন বিশ্বকাপ। টেস্ট-ওয়ানডে উভয় ফর্মেটেই দারুন একজন ক্রিকেটার। ১৬৮ টেস্টে ১০৯২৭ রান ও ৯২ উইকেট এবং ৩২৫ ওয়ানডেতে তার ১৯৫ উইকেট ও প্রায় ৮ হাজার রান করেন তিনি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও লিস্ট-এ তে পাঁচ শতাধিক উইকেট ও ৩৫ হাজার রান করেন তার ক্রিকেট জীবনে।

মার্টিন সুজি- টনি সুজি (কেনিয়া)

মার্টিন সুজি- টনি সুজি (কেনিয়া)

কেনিয়ার ক্রিকেটে একসময় উদ্বোধনী পেস আক্রমণের দায়িত্ব ছিল এই দুই ভাইয়ের ওপর।
১৯৯৬ সালে ভারতের বিপক্ষে মার্টিন সুজির জাতীয় দলের পথচলা শুরু হয়। ৬৪ একদিনের ম্যাচে ৪৩ জনকে আউট করেন তিন।
ছোট ভাই ওটিয়োনো বা টনি সুজির অভিষেক হয় নাইরোবিতে ১৯৯৬ সালে ৬০টি একদিনের ম্যাচ খেলে তার সংগ্রহ ২১ উইকেট।
ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম, নাথান ম্যাককুলাম (নিউজিল্যান্ড)
ব্রেন্ডন ম্যাকুলাম ও নাথান ম্যাককুলাম কিউই দলের অন্যতম সদস্য। তাদের বাবাও ক্রিকেটার ছিলেন। বাবা স্টুয়ার্ট ম্যাককুলাম ছিলেন উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটসম্যান। তবে তিনি জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও তার ছেলেরা ঠিকই সারা বিশ্ব কাপাচ্ছে  নৈপুণ্যে।
ব্রেন্ডন ও নাথানের বয়সের ব্যবধান ১ বছর। বড় ভাই ব্রেন্ডন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ও ছোটভাই নাথান অলরাউন্ডার।

ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম, নাথান ম্যাককুলাম

ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম, নাথান ম্যাককুলাম

ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ২০০২ সালে ওয়ানডে এবং ২০০৪ সালে টেস্ট দলে সুযোগ পান এই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান।
জাতীয় দলের অধিনায়ক ব্রেন্ডন এখন পর্যন্ত ৮৭টি টেস্ট ও ২২৯টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন।
টেস্টে তার রান ৫৩০৬ আর ওয়ানডেতে ৫১৭২। উভয় ফর্মেটেই ৪০০-এর অধিক ক্যাচ ২৬ টি স্ট্যাম্পিং করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
ছোট ম্যাককুলামের অভিষেক হয় ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। টি-২০তে তার অভিষেক হয় ২০০৭ সালে।
এপর্যন্ত ৬৭ টি একদিনের ম্যাচ ও ৫৫টি টি-২০ ম্যাচ খেলেন তিনি।  (তথ্যসূত্র- ক্রিকইনফো)