ঢাকামঙ্গলবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দাবি এরশাদের

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪ ১২:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

Untitled-52নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ইসলামকে অবমাননা করে বক্তব্য দেয়াকে সংবিধান লঙ্ঘন এবং মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য লতিফ সিদ্দিকীর অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর এ বিশেষ দূত।
মঙ্গলবার পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, ‘ইসলামের চার স্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ হজ। তা নিয়ে লতিফ সিদ্দিকী যে জঘন্য ও কুৎসিত মন্তব্য করেছেন তার নিন্দা প্রকাশেরও ভাষা আমার জানা নেই। হজের ব্যাপারে আজ পর্যন্ত অন্য কোনো ধর্মাবলম্বীরাও এধরনের কুৎসিত মন্তব্য করেনি। সেখানে বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম অধ্যুসিত দেশে- যেখানে ৯০ ভাগই মুসলিম জনগোষ্ঠী তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হেনে লতিফ সিদ্দিকী যে জঘন্য কাজ করেছেন তা এদেশের জনগণ কখনো এবং কোনভাবেই মেনে নেবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের জঘন্য কথা বলে তিনি শুধু বাংলাদেশের মানুষের মনেই নয়-বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসের উপরে চরম আঘাত হেনেছেন। এজন্য শুধু ক্ষমা চাইলেই হবে না তার জন্য দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করতে হবে। যেখানে দেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এবং সংবিধান অনুসারে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা যাবে না- সেখানে এই লতিফ সিদ্দিকী ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে সরাসরি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তাই সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে তাকে অভিযুক্ত করতে হবে।’
বিবৃতিতে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারী, তিনি বহুবার হজ পালন করেছেন। সেখানে লতিফ সিদ্দিকীর এই উক্তির মাধ্যমে প্রধানন্ত্রীর ধর্ম বিশ্বাসের উপরেও চরম আঘাত হেনেছেন। বিশ্ব ইজতেমার মাঠের বরাদ্দ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই দিয়ে গেছেন। তাবলিগের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে শ্রদ্ধা ছিল এব্যাপারে তার পৃষ্ঠপোষকতায় তার সুষ্পষ্ট প্রমাণ। সেই তাবলিগ সম্পর্কেও লতিফ সিদ্দিকী কটূক্তি করেছেন। এই বক্তব্য দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। অবিলম্বে তাকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করতে হবে।’
উল্লেখ্য, গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে ‘আমি হজ ও তাবলিগ জামাত বিশ্বাস করি না’ মন্তব্য করে বক্তব্য দেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও কটূক্তি করেন। তার এমন বক্তব্যে সভায় প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তিনি দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করেন।