নিজস্ব প্রতিবেদক
হজ এবং দ্বীনি দাওয়াতের বিরুদ্ধে কথা বলায় মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে লেখিকা তসলিমা নাসরীনের সঙ্গে তুলনা করেছেন ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগার ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। সেই সঙ্গে তিনি লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ইকরা মিলনায়তনে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা আয়োজিত আলেম-উলামাদের এক মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকীকে ‘অর্বাচীন’ উল্লেখ করে মন্ত্রীর অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘ইসলামের অন্যতম ইবাদত ও মূলভিত্তি হজ এবং দ্বীনি দাওয়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অর্বাচীন মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তসলিমা নাসরীনদের মতো ভাগ্যহত হওয়ার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন। পীর-মাশায়েখ ও আলেম-উলামার এই দেশে এরকম কুরুচীপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। সরকারের কাছে অবিলম্বে তার অপসারণ এবং শাস্তি দাবি করছি। যতো দ্রুত লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করা হবে ততোই দেশের মঙ্গল। না হলে এ দেশে আল্লাহর গজব নেমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ঐক্যের এই মহাসমাবেশের বিরুদ্ধে কথা বলে লতিফ সিদ্দিকী সমগ্র পৃথিবীর মানুষের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছেন।’
লতিফ সিদ্দিকীকে অমুসলিমদের দোসর দাবি করে জমিয়তুল উলামার এই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় নাস্তিকদের প্রেতাত্মা ভর করছে।’ এ দেশে পশ্চিমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অহঙ্কার তবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমাও তার সহ্য হয় না। বাস্তবে ইসলাম নিয়েই তার এলার্জি। এরকম মুসলিমবিদ্বেষীকে এ দেশের মানুষ মন্ত্রিসভায় দেখতে চায় না।’
আলেমদের এই মতবিনিময় সভায় আগামী ৩ অক্টোবর শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মতবিনিময়ে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন সাইফী, মাওলানা রুহুল আমীন সিরাজী, মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, মাওলানা হুাসইনুল বান্না, মাওলানা লিয়াকত আলী মাসঊদ, মাওলানা আবদুল আলীম ফরিদী প্রমুখ।