সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেয়ে কামরুন্নাহারকে (১৫) গলা কেটে হত্যা করেছেন পাষণ্ড বাবা মতিয়ার রহমান। ঘটনার পর লাশ ঘরের মধ্যে রেখে তিনি পালিয়ে যান।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরার বদ্দিপুর কলোনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছোট বোন করিমন নাহার (১৩) জানায়, দুপুরে সে তার বান্ধবীদের সঙ্গে ধুলিহর এলাকায় বেড়াতে যায়। বিকেল ৫টার দিকে সে বাড়ি ফিরে আসে। এ সময় ঘরের মধ্যে বোন কামরুন্নাহারের গলা কাটা লাশ এবং পাশে চাপাতি দেখে সে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমান লাশ ও চাপাতি উদ্ধার করেন।
করিমন নাহার জানায়, চার ভাই ও দুই বোনের সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। অভাব অনটনের কথা ভেবে তার মা সুফিয়া খাতুন বিদেশ যাবার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তিনি ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
তবে বাবা মতিয়ার রহমান মায়ের বিদেশ যাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না। এ নিয়ে রোববার বাবার সঙ্গে কামরুন্নাহারের কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা মতিয়ার রহমান তার বোনকে হত্যা করেছেন বলেও জানায় সে।
ওসি গোলাম রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলামেইলকে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে রক্তমাখা চাপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।