নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে গতকাল শনিবার বিদ্যুৎ না থাকায় রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি। তাদের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভা যাতে মিডিয়ায় প্রকাশ না করা যায়, সে জন্যই সারাদেশে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল সকাল ১১টা থেকে প্রায় ১১/১২ ঘণ্টা সারাদেশে বিদ্যুৎ না থাকা এক রহস্যজনক বিষয়। বেগম জিয়ার জনসভায় লাখো মানুষের সমাগম কোনোভাবেই এই অবৈধ ভোটবিহীন সরকার বরদাস্ত করতে পারছে না। সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি আতঙ্কে ভুগছে। তাই গতকালকে নিরবচ্ছিন্ন ব্ল্যাকআউট সরকারের এক গভীর চক্রান্ত্রেরই অংশ কি-না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যাতে সারাদেশের মানুষ বিএনপির বিশাল সমাবেশ সরাসরি গণমাধ্যমে কিংম্বা সামাজিক গণমাধ্যমে দেখতে না পারে সেজন্যই এই কারসাজির আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে মানুষ বিশ্বাস করে।’
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) কুইক রেন্টালকে সাময়িক নীতি বলে ঘোষণা করেছিল, তারা বলেছিল-২০১৩ সালের পর থেকে বিদ্যুতের দাম কমবে। কিন্তু কুইক রেন্টালকেই স্থায়ী নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে এই ভোটারবিহীন সরকার। ফলে ক্ষমতাসীন লুটেরাদের পকেট ভারী হয়েছে। সরকারী দুর্নীতি ও ভ্রান্তনীতির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের নামে গরীবের পকেট কাটা ও কৃষি ধ্বংসের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ক্রোধ মূলত জনগণেরই ওপরে। এর আগে তিনি বলেছেন- যারা বিদ্যুৎ নেই বিদ্যুৎ নেই বলে, তাদের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হবে। এখন সবার মনে এই প্রশ্নই জেগেছে, গতকাল দিন-রাতের নিরবচ্ছিন্ন অন্ধকার কি সেই ক্রোধেরই বহিঃপ্রকাশ?’