ঢাকাসোমবার , ৩ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চূড়ান্ত রায়েও বদরনেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ৩, ২০১৪ ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

kamaruzzaman
নিজস্ব প্রতিবেদক :

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ট বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

বেঞ্চের বাকি চার সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

রায়ে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া ১ নম্বর অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়। এছাড়া ২ ও ৭ বহাল নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়।

ট্রাইব্যুনাল ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর ও ৭ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা-নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে গত বছর ৯ মে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। সুপ্রিম কোর্টে আপিল দাখিলের পর গত ৫ জুন শুনানি শুরু হয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর তা শেষ হয়।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছর ৯ মে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে বলা হয়, ‘হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তকরণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৭টির মধ্যে ৫টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। যার মধ্যে অভিযোগের ৩ ও ৪ নম্বরে দুটি হত্যাকাণ্ড রয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ির সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে হত্যা ও নারী ধর্ষণ এবং গোলাম মোস্তফা তালুকদার হত্যার ঘটনায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।’

প্রসঙ্গত, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় ২০১০ সালের ১৩ জুলাই কামারুজ্জামানকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছর ২ আগস্ট তাকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এর আগে আপিল বিভাগে কাদের মোল্লা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চূড়ান্ত রায় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কাদের মোল্লাকে আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরে গত বছরের ডিসেম্বরে তার দণ্ড কার্যকর হয়। আর সাঈদীর আপিলের রায়ে তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ।

প্রমাণিত পাঁচ অভিযোগ
প্রথম অভিযোগ (বদিউজ্জামান হত্যা) : ১৯৭১ সালের ২৯ জুন সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার রামনগর গ্রামের আহম্মেদ মেম্বারের বাড়ি থেকে বদিউজ্জামানকে অপহরণ ও নির্যাতন করে পরদিন হত্যা করা হয়।

দ্বিতীয় অভিযোগ (প্রিন্সিপাল হান্নানকে নির্যাতন) : মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানকে মাথা ন্যাড়া করে চুনকালি মাখিয়ে পুরো শহর ঘোরানো হয়।

তৃতীয় অভিযোগ (সোহাগপুর গণহত্যা) : ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই আলবদর ও রাজাকাররা পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় এবং নারীদের ধর্ষণ করে।

চতুর্থ অভিযোগ (গোলাম মোস্তফা হত্যা) : ১৯৭১ সালের ২৩ আগস্ট আলবদর সদস্যরা গোলাম মোস্তফাকে ধরে সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়িতে আলবদর ক্যাম্পে নিয়ে যান। সেখানে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

সপ্তম অভিযোগ (দারাসহ ছয় হত্যা) : মুক্তিযুদ্ধকালে ২৭ রমজান ময়মনসিংহের গোলাপজান রোডের টেপা মিয়া ও তার বড় ছেলে জহুরুল ইসলাম দারাকে ধরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় আলবদর ক্যাম্পে নেয়া হয়। পরদিন ওই দু’জনসহ সাতজনকে আলবদররা গুলি করলে টেপা মিয়ার পায়ে লাগে। তিনি পালাতে সম হন। অন্য ছয়জনকে হত্যা করা হয়।

প্রমাণিত হয়নি যেসব অভিযোগ
পাঁচ অভিযোগ (লিয়াকত-মুজিবুরসহ অজ্ঞাত ৮ জনকে হত্যা) : মুক্তিযুদ্ধকালে রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে শেরপুরের চকবাজার থেকে লিয়াকত আলী ও মুজিবুর রহমানকে অপহরণ করে বাঁথিয়া ভবনের রাজাকার ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়। পরে দু’জনসহ ১৩ জনকে ঝিনাইগাতীর আহম্মেদনগর সেনাক্যাম্পে পাঠানো হয়। পাকিস্তান আর্মিরা লিয়াকত, মুজিবুরসহ আটজনকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

ষষ্ঠ অভিযোগ (টুনু হত্যা) : ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে টুনু ও জাহাঙ্গীরকে ময়মনসিংহের জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে আলবদর ক্যাম্পে নিয়ে টুনুকে সেখানে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। জাহাঙ্গীরকে পরে ছেড়ে দেয়া হয়।