নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে ভূমিকম্পের আশঙ্কাকে সামনে রেখে ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণার্থী তৈরি করা হচ্ছে। দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কতৃপক্ষ এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে ২৮ হাজার প্রশিক্ষণার্থী এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় তারা ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি উদ্ধার তৎপরতায়ও অংশ নিচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা যায়, ইউএনডিপির আর্থিক সহযোগিতায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষ এই স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি চলছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) আকরাম হোসেন জানান, ২০০৮ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়। এই পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজর স্বেচ্ছাসেবী কর্মী তার তৈরি করতে পেরেছেন। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে স্বেচ্ছাসেবী আহ্বান করা হয়। চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সাংবাদিক, ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এই প্রশিক্ষণ নিতে ব্যাপক আগ্রহও দেখাচ্ছে। তবে স্থান স্বল্পতার কারণে সবাইকে সুযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
৪ দিনের এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ফায়ার ফাইটিং, রেসকিউ এবং ফার্স্ট এইড বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রতি ব্যাচে ৪০ জনকে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে যেসব স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তারা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অংশ নিচ্ছে। তাদেরকে নির্দিষ্ট (কমলা) রংয়ের পোশাকও সরবরাহ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শুধুমাত্র স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করেই ভূমিকম্প পরবর্তী সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। তাই ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যন্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যেমন- পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ কর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়েও সমন্বিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে কবে নাগাদ এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে তা জানা যায়নি।