নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেছেন তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েসহ ১০ স্বজন।
বুধবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট থেকে বেলা ১১টা ৮ মিনিট পর্যন্ত তারা কারাগারের ভেতরে কামারুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেন।
সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী এ খবর নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা তাদের সাক্ষাৎ করার জন্য ডাকিনি। নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তারা সাক্ষাৎ করতে এসেছেন।’
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কামারুজ্জামানের স্ত্রী, ছেলে, ১ মেয়ে, ফুপু ও চাচাসহ ১০ স্বজন কারাগারে যান।
সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে তারা কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে বেলা ১১টা ৮ মিনিট পর্যন্ত কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১১টা ২০ মিনিটে তারা জেলগেট ত্যাগ করেন।
কামারুজ্জামানকে গতকাল মঙ্গলবার কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। এর পর তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন স্বজনরা। বুধবার সকালে জেল সুপারের কাছে আবেদনটি পৌঁছায়।
এদিকে, একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা সে ব্যাপারে গতকাল পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি তার পরিবার।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল এ ব্যাপারে বলেন, ‘বাবা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না এ ব্যাপারে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে বাবার সঙ্গে আমরা পরামর্শ করব। তিনি যদি রাজি হন তাহলে চাইব, না হলে চাইব না।’
উল্লেখ্য, একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় গত সোমবার ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় দেন আপিল বিভাগ।