ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেখ মুজিবের নামে দেশদ্রোহ মামলা করা প্রয়োজন

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ৬, ২০১৪ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Tareqনিউজ ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা করা প্রয়োজন। কারণ ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরেই তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আইনের দৃষ্টিতে তিনি পাকিস্তানি নাগরিক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও শেখ মুজিব স্বেচ্ছায় পাকিস্তানের পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের অবৈধ রাষ্ট্রপতি।’
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার লন্ডনে দ্যা অ্যাট্রিয়াম অডিটরিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত পাঁচদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের চতুর্থ দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টার বক্তব্যে তারেক রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঘটনা, ১৯৭৫ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বর এই সময়ের বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
সভায় তারেক রহমান দাবি করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ইতিহাসভিত্তিক কিছু তথ্য দলিল প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি তুলে ধরেছেন। তার প্রতিটি বক্তব্য ছিলো তথ্যভিত্তিক। অথচ এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নাকি দেশদ্রোহী মামলা দেয়া হয়েছে।
তারেক রহমান প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘শেখ মুজিব ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, ২৫ মার্চও দেননি বরং তাজউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার আহ্বান জানালে তিনি তাকে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। এসব তথ্য কি মিথ্যে?’
তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই দেখেননি। দেখেননি তাদের দুঃখ, কষ্ট ও বীরত্বগাথা। এ কারণে পাকিস্তান থেকে পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে ফিরে অবৈধভাবে বাংলাদেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই শেখ মুজিব কার্যত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। লালঘোড়া দাবড়ানোর নামে নির্বিচারে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা তিনিই শুরু করেন। জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করেই ছেড়ে দেন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের।’
তারেক দাবি করেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা রাখতে না পারার লজ্জা শেখ মুজিবের ছিল। মুক্তিযুদ্ধে যারা বীরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন তাদের সঙ্গে শেখ মুজিব কখনোই সহজ হতে পারেননি। এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদও তার রোষানল থেকে বাঁচতে পারেননি।’
ইতিহাসের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘সর্বহারা পার্টির নেতা সিরাজ সিকদারকে বিনাবিচারে হত্যা করে শেখ মুজিব ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, কোথায় সেই সিরাজ সিকদার? বিরোধী দলের একজন রাজনৈতিক দলের নেতাকে বিনাবিচারে হত্যা করে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে এভাবে দম্ভ করে জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করেছিলেন শেখ মুজিব। পিতার মতো অন্যায়ভাবে এখন সেই সংসদ বিনাভোটের কথিত এমপি দিয়ে দখল করে রেখেছেন রং হেডেড শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘জনগণকে শেখ মুজিব বিশ্বাস করতে পারেননি। পিতার মতো জনগণের প্রতি শেখ হাসিনারও আস্থা নেই। তাই সংসদ কিংবা সরকার গঠন করতে তাদের জনগণের ভোট কিংবা সমর্থনের প্রয়োজন হয় না।’
তারেক আরো বলেন, ‘জোর খাটিয়ে কিংবা রাজাকার আখ্যা দেয়ার ভয় দেখিয়ে শেখ মুজিবের পক্ষে যতই মিথ্যা ইতিহাস রচনা করা হোক, প্রকৃত সত্য হচ্ছে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিজয় দিবসটি শেখ মুজিব আনন্দের সঙ্গে উদযাপনের সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেননি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার প্রথম বিজয় দিবসেই অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সর্বহারা পার্টি আধাবেলা হরতাল ডাকতে বাধ্য হয়। ৭৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসেও হরতাল ডাকে সর্বহারা পার্টি।
সভায় আরো বক্তৃতা দেন তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, যুক্তরাজ্য যুবদলেরর আহ্বায়ক দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নেওয়াজ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাসির আহমেদ শাহীন, যুক্তরাজ্য জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন,  যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ শরফুসহ অনেকে। সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস। সভা পরিচালনা করেন কয়সর এম আহমেদ।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এম এ মালেক, তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সায়েদুল ইসলাম বাবুল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ মল্লিকসহ অনেকে।