ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঘরের ভিতরোত আজনীতি হয় না

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ৬, ২০১৪ ১২:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

Rangpur-Jamatরংপুর প্রতিনিধি : ‘হরতাল ডাকেয়া ওমরাগুল্যা (জমায়াত-শিবির) ঘরোত থাকে। আর হামরা বাইরোত হরতালের জনতে কষ্ট পাওচি। বাহে সাংবাদিক, ওমাকগুল্যাক (জামায়াত-শিবির) কন, বাইরোত আসিয়া মিটিং মিছিল করুক। ঘরের ভিতরোত নুকি থাকি আজনীতি হয়না’।
এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বয়স ষাট বছর পেরিয়ে যাওয়া বদরগঞ্জের রিকশাচালক ফরিদ উদ্দিন।
বয়স হলেও থেমে নেই তার জীবন সংসারের তাগিদে ছুটে চলা। প্রতিদিন ভোর হতেই বদরগঞ্জ থেকে ট্রেনে আসেন রংপুর রেলস্টেশনে। এরপর ছুটে যান চারতলার মোড়ে। সেখানে গ্যারেজ থেকে জমায় নেন তিন চাকার রিকশা। বুড়ো মানুষ, তাই যাত্রীরাও তার গাড়িতে কম চড়ে। এভাবেই নগরীর রাজপথ থেকে অলিগলি ছুটতে হয় তাকে। যানজটে পড়লে বারবার বাজাতে হয় রিকশার বেল।
কিন্তু কয়েকদিন থেকে হরতালের কারণে তার চোখে ধরা পড়েনি যানজট। নেই বেলের ঘন ঘন শব্দ। নেই আগের মতো যাত্রী। কমে গেছে তার রোজগারও। ঘন ঘন হরতালের কারণে বেড়ে গেছে তার কষ্টও। তাইতো রিকশা চালক ফরিদ মিয়া হরতাল চান না। সুন্দর স্বাভাবিক পরিবেশে নিরাপদে আয় রোজগার করতে চান তিনি।
জামায়াতে ইসলামী ডাকা তৃতীয় দফার ৪৮ ঘন্টার হরতাল চলাকালে নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকজন রিকশা ও অটোরিকশা চালকের সাথে কথা হয়। এসময় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ফরিদ মিয়া।
তিনি বলেন, ‘খামাখা হরতাল ডাকেয়া হামার মতো গরিব মাইষের প্যাটোত গুঁড়ি মারি কি নাব। তিন চারই মাস পর হঠাৎ করি একদিন হরতাল হইলে তাক মানি নেওয়া যায়? কিন্তুক নাই কতাতে থাকি থাকি হরতাল আর ভাল নাগে না বাহে। ওমাকগুল্যাক কন হরতাল বাদে অন্যকিছু করইবার।’
এরকম অনেকেই হরতালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দাবি করেন সাধারণ আমজনতা থেকে দিনমজুররা।
এদিকে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ মামলায় মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাশেম আলী ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা তৃতীয় দফার হরতাল রংপুর মহানগরীতে চলছে ঢিলেঢালা ভাবে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে। দূরপাল্লার বাস-ট্রাক বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক রয়েছে সাধারণ যানবাহনসহ ট্রেন চলাচল। সরকারি, বেসরকারির প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রয়েছে। তবে উপস্থিতি সংখ্যায় কম দেখা গেছে।
হরতালের সমর্থনে নগরীর রাজপথে দেখা যায়নি জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের। নেই পিকেটার বা পিকেটিং। অন্যদিকে হরতালে যে কোনো ধরণের অরাজকতা ও নাশকতা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার সন্ধ্যা থেকেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে শহরমুখী যানবাহন ও সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করতে দেখা গেছে পুলিশকে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবারও পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাবের টহল অব্যাহত রয়েছে।
হরতালে কোথাও কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী। তিনি জানান, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত নাশকতার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে  জামায়াত-শিবিরের ৫১ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।