খুলনা প্রতিনিধি :
জামায়াতি হরতালকে সমর্থন করে সরকারি কার্য দিবসে দপ্তর ফাঁকা রেখে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক খুলনা (আরসি ফুড-খুলনা) নেতৃত্বে খুলনা বিভাগের সকল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড), ও সকল ওসিএলএসডি (উপজেলা খাদ্য গুদাম রক্ষক), বিশাল বহর নিয়ে নৌবিহারে সুন্দরবনে পৌঁছেছে। সঙ্গে রয়েছেন আরসি ফুড বরিশালও। ইতোমধ্যে হিরণ পয়েন্টে পৌঁছে সরকারি রেস্ট হাউজে অবস্থান নেয় বিশাল বহরের এই টিম। আজ শুক্রবার সুন্দরবনের রাশ মেলায় যাবেন তারা। চলবে হরিণ শিকারের মহোৎসবও।
বরিশাল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ খুলনাঞ্চলের সকল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং সকল ওসিএলএসডি’র এক বিশাল বহর নিয়ে গত ৫ নভেম্বর রাত ১২টার সময় খুলনা ৪ নম্বর ঘাট থেকে এমভি কটকা যোগে নৌবিহারে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী নুরুল ইসলাম। বেলা সাড়ে বারোটার সময় তারা পৌঁছান হিরণ পয়েন্টে। ওই সময় ডিসি ফুড সাতক্ষীরা শাহজাহান ভূঁইয়ার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আরসি ফুড খুলনার নেতৃত্বে আমরা সুন্দরবন যাচ্ছি। আমরা এখন হিরণ পয়েন্টে পৌঁছেছি।
সরকার বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের মধ্যে সরকারি কার্য দিবসে নৌবিহারে সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়ায় খুলনা বিভাগের খাদ্য সেক্টর মূলত গতকাল ৬ নভেম্বর ফাঁকা হয়ে পড়ে। সমালোচকরা বলেন-আরসি ফুডসহ খুলনাঞ্চলের খাদ্য সেক্টরের কর্মকর্তারা জামায়াতি হরতাল পালন করছেন!
এ ব্যাপারে খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। মহাপরিচালক মো. সারোয়ার খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা তৈয়েবুর রহমান এই নৌ বিহারের অর্ধেক খরচ বহন করছেন। কারণ হিসাবে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ধান ক্রয়ে মিলারদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেন তিনি। এ ব্যাপারে মিলাররা তার বিরুদ্ধে আরসি ফুড খুলনার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও হয়েছে। এ তদন্তে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি এ নৌবিহারের উদ্যোক্তা হয়ে অর্ধেক খরচ বহন করছেন বলে সূত্রের দাবি।