ঢাকাশুক্রবার , ৭ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আজ ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ৭, ২০১৪ ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

07 novemberনিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর। দিনটি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে নানা বিতর্ক থাকলেও এদিনেই বাংলাদেশের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে দিনটি বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত পটপরিবর্তনের পর ৩ নভেম্বর জেলহত্যা। দ্রুত বদলাতে থাকা সেই প্রেক্ষাপটের ইতিহাসের ঘটনাবহুল একটি অধ্যায় এই ৭ নভেম্বর। সিপাহী-জনতার ঐক্যের স্মারক এই দিনটির মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন তৎকালীন বন্দী সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান।
৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে বিএনপি। দিবসের সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে থাকা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) দিনটিকে পালন করে সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে।
তবে আওয়ামী লীগসহ বেশ কিছু দল ও সংগঠন নভেম্বরের ৭ তারিখকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে।
১৯৭৬ সাল থেকে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে পালন শুরু হয়, সরকারি ছুটি থাকতো এই দিনে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ জাতীয় দিবস ও ছুটি-দুটোই বাতিল করে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি আবার জাতীয়ভাবে ৭ নভেম্বর পালন শুরু করে, ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার সেই ছুটি বাতিল করে।
দিনটি পালনের জন্য বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। জাসদের পক্ষ থেকেও দিনটি পালনে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভোটারবিহীন এই সরকার জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। তারা বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে ফ্যাসিবাদী শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করছে।
৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতীয় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। তাই ৭ই নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয় ও গণতন্ত্র অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়, বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান খালেদা জিয়া।
অপর এক বাণীতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে জাতিসত্তার স্বাধীন অস্তিত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত হয়।
বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, ১০টায় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ। এছাড়া আগামীকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হবে সমাবেশ। একইসাথে দলের সকল জেলা, উপজেলা ও সকল ইউনিট স্থানীয়ভাবে দিবসটি পালন করছে।
অন্যদিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শুক্রবার বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভা।