নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘টক-শোতে আসেন, ৭৫-এর সময় থেকে এ পর্যন্ত যা ঘটেছে সে বিষয়ে আমার কোনো কথার যদি যুক্তিখণ্ডন করতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।’
শুক্রবার সকালে ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে তিনি এ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। ৭৫-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিট এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
কামরুল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘সাহস থাকলে দেশে আসুন। দেখি কতো সাহস। পলাতক ফেরারি আসামি হয়ে ভণ্ডামী করে বিদেশে আর কতদিন পালিয়ে থাকবেন? একদিন অবশ্যই আপনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়তে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এদেশে দুর্নীতি করেছে, দেশকে জঙ্গিবাদের আস্তানা বানিয়েছিল, একদিন এদেশের মাটিতে তাদের বিচার হবেই হবে। তারা পালিয়ে বেড়াতে পারবে না।’
জিয়াউর রহমানকে আইএসআই’র এজেন্ট আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে মুক্তিযুদ্ধে প্রবেশ করে যুদ্ধ করেছে। শুধু তাই নয় তাদের হয়ে ৭৫-এর ঘাতকদের সহায়তাও করেছিলেন তিনি।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘জঙ্গিবাদের জন্মদাতা হচ্ছে জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক। বাংলা ভাই ও মুফতি হান্নানের সাথে এ দেশকে ধ্বংস করতে হাওয়া ভবনে ষড়যন্ত্র করেছিল সে। খালেদা জিয়া ও তারেক তাদের লালন-পালন করেছে। খাদেলার পৃষ্ঠপোষকতায় এদেশে অস্ত্র এসেছে। এদের বিষ দাঁত ভেঙে দিতে হবে। তাদের ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’
সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- মেহেজাবিন এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এমএ করিম, সংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ প্রমুখ।
ঢাকাশুক্রবার , ৭ নভেম্বর ২০১৪
